বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। মূলত, জাপানের রাজধানী টোকিও বিমানবন্দরে একটি ঘটনা সবাইকে হতবাক করেছে। সেখানে একজন ব্যক্তি ২২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে ফুটবল খেলোয়াড় (Pakistan Football Team) সাজিয়ে অবৈধভাবে জাপানে পাচার করার জন্য তাঁদের ছদ্মবেশে নিয়ে যান। তবে, জাপানি অভিবাসন আধিকারিকরা এই কৌশল ধরে ফেলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে জাল নথিপত্র প্রকাশ পায় এবং পুরো দলটিকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের একটি মানব পাচারকারী চক্রের যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জাপানের বিমানবন্দর থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানের “ফুটবল টিম” (Pakistan Football Team):
পাকিস্তানের ভুয়ো ফুটবল দলের রহস্য: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই দলটি সম্পূর্ণ ফুটবল কিট পরে জাপানে পৌঁছেছিল এবং তারা পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (PFF) সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রক কর্তৃক জারি করা। ভুয়ো “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” (NOC)-ও তাদের কাছে ছিল।
ওই দলটিকে “গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল” নামক একটি কাল্পনিক ক্লাবের দল হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়। পাশাপাশি বলা হয়, ওই দলটি (Pakistan Football Team) শিয়ালকোটের পাসরুরের বাসিন্দা মালিক ওয়াকাস পাঠিয়েছিলেন। ওই ২২ জন খেলোয়াড় জাপানে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার অছিলায় সেখানে যায়। সামগ্রিকভাবে পুরো বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত জালিয়াতির অংশ বলে প্রমাণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুপার-৪-এ এন্ট্রি পাকিস্তানের! এশিয়া কাপে ফের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাক, কবে-কোথায় ম্যাচ?
এদিকে, অভিযুক্ত মালিক ওয়াকাস এই ভ্রমণের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি আদায় করেছিলেন। আর আগেও তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, একইভাবে ১৭ জনকে জাপানে পাঠিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জাল নথি এবং জাপানি ক্লাব বোয়াভিস্তা এফসির একটি জাল আমন্ত্রণপত্র ব্যবহার করে তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল। এবারও একই কৌশল অবলম্বন করা হয়। কিন্তু জাপানি আধিকারিকদের সতর্কতা এই এবার চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এল পুতিনের ফোন! জানালেন শুভেচ্ছা, ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে দিলেন বিশেষ বার্তা
FIA বড় পদক্ষেপ নিয়েছে: উল্লেখ্য যে, নথি ব্যবহার করে শিয়ালকোট বিমানবন্দর থেকে ভুয়ো দলটি জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারি উন্মোচিত হওয়ার পর, ২২ জনকে (Pakistan Football Team) পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। যার পর পাকিস্তানের ফেডারেল তদন্ত সংস্থা (FIA) তাঁদের গ্রেফতার করে। পাকিস্তানের তদন্ত সংস্থা, FIA সমগ্র বিষয়টিকে মানব পাচারের একটি বড় ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছে। রিপোর্ট অনুসারে, FIA-এর কম্পোজিট সার্কেল গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওয়াকাসকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করে। তদন্তে জানা গেছে যে, একটি বৃহৎ মানব পাচারকারী নেটওয়ার্ক ছিল। যেটি ভুয়ো ক্রীড়া ইভেন্টকে ব্যবহার করত।