বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোটি কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগে জড়ালেও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। বুধবার আদালতের চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা”অভিযোগ টিকবে না। জীবনকৃষ্ণ এদিন জোর গলায় জানান, “কেউ কিছু প্রমাণ করতে পারবে না, আমি নির্দোষ।”
প্রমাণ লোপাটের জন্য নিজের মোবাইল ফোন বাড়ির পেছনে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha)
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় দুই বছর আগে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আটক করা হয়। তদন্তকারীরা অভিযোগ করেন, প্রমাণ নষ্ট করার জন্য বিধায়ক নিজের মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। যদিও তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বহু মাস জেলবন্দি থাকার পর চলতি বছরেই তিনি জামিনে মুক্তি পান জীবনকৃষ্ণ।
তবে বেশিদিন বাইরে থাকা হয়নি। গত আগস্টেই ইডি ফের জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে হানা দেয়। প্রায় ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি জেলেই বন্দি আছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের আবেদন শুনানির জন্য ইডির আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। সেই সময় ভ্যান থেকে কোর্ট লকআপে নেওয়ার পথে তিনি ফের দাবি করে বলেন যে, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, জীবনকৃষ্ণকে (Jiban Krishna Saha) গ্রেপ্তারের পর ইডি আদালতে বেশ কয়েকটি গুরুতর তথ্য প্রকাশ করে। আইনজীবীর মাধ্যমে সংস্থাটি জানায়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজার থেকে মোট ৪৬ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এর মধ্যে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা জমা হয় তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে, আর বাকি ২০ লক্ষ টাকা যায় বিধায়কের বাবার নামে।
আরও পড়ুনঃ কুর্মিদের রেল রোকো ও রাস্তা অবরোধ ঠেকাতে নামতে হবে রাজ্যকে, কড়া নির্দেশ হাই কোর্টের
ইডির তরফে প্রশ্ন তোলা হয় যে, বিধায়কের স্ত্রী যিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা, তাঁর অ্যাকাউন্টে এত বিপুল অঙ্কের টাকা কীভাবে এল? আদালতে সেই ব্যাখ্যা নিয়েই বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) নিজের অবস্থানে অনড়, তিনি দাবি করেন এসব অভিযোগ নিছক ভিত্তিহীন এবং তিনি আবারও বলেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণ করা যাবে না।