বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর দিন দুই পরেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। মহিষাসুরমর্দিনীর আগমনীর অপেক্ষায় রয়েছেন আপামর বাঙালি। তার আগে মহালয়ার দিন রয়েছে তর্পণ পর্ব। পুর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দেওয়ার রীতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। আগে শুধু পুরুষরাই এই রীতি পালন করলেও এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েরাও অংশ নিচ্ছে তর্পণে। তবে এ বিষয়ে হঠাৎ বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। পূর্বপুরুষদের জল দেওয়ার রীতিটাই নাকি মানেন না তিনি।
তর্পণ নিয়ে স্পষ্ট কথা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee)
সুদীপা (Sudipa Chatterjee) বলেন, তিনি তর্পণ করেন না, তাঁর দাদারা করেন। তিনি বিষয়টা মানেন না। তাঁর কথায়, পুরাণ মতে নরকের ‘পুতলোক’ থেকে পরিত্রাণ পেতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান এবং তর্পণ করা হয়। পুতলোক থেকেই ‘পুত্রাং দেহি’ কথাটি এসেছে। হিন্দুশাস্ত্র মতে বিয়ে হলে কন্যাদান হয়, গোত্রান্তর হয়। তিনি এখন আর মুখোপাধ্যায় নয়, চট্টোপাধ্যায় হয়ে গিয়েছেন।
কী যুক্তি সুদীপার: সুদীপা (Sudipa Chatterjee) স্পষ্ট বলেন, ‘বাবা যা রেখে গিয়েছেন তা নিয়েই থাকব এমন তো নয়। স্বামীর সম্পত্তিরও ভাগ নেব। আর এখন তো আমি অন্য গোত্রের। তাহলে অন্য গোত্রে জল দেব কীকরে?’ সুদীপা (Sudipa Chatterjee) আরও বলেন, এখন অনেকেই অঞ্জলির সময় ‘পুত্রাং দেহি’ বলতে চান না। কন্যাং দেহি, সন্তানাং দেহি বলেন। সুদীপার মতে, ‘এগুলো অর্ধশিক্ষিতের মতো কথা’।
আরও পড়ুন : গতবারের ভিড়ও ছাপিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, নির্বিঘ্নে পুজো পরিক্রমায় ‘টুরিস্ট স্মার্ট কার্ড’-এর ঘোষণা মেট্রোর
নিজের মত স্পষ্ট করেছেন তিনি: তবে সুদীপা (Sudipa Chatterjee) বলেন, এগুলো তাঁর ব্যক্তিগত মত। যে মেয়েরা শ্রাদ্ধ করেন বা পিণ্ডদান করেন তাঁদের তিনি মোটেই ছোট করছেন না। অন্যের ভাবনাকে যেন তাঁর নিজের ভাবনার সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলা হয় সেই অনুরোধ করেছেন সুদীপা (Sudipa Chatterjee)।
আরও পড়ুন : শাহরুখ-দীপিকা তো কোন ছাড়, হলিউড থেকে এই অভিনেত্রীকে আনতে ৫৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব বলিউডের!
প্রসঙ্গত, সুদীপার শ্বশুরবাড়ির পুজো ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই জনপ্রিয়। প্রতি বছর ধুমধাম করে পুজো হয় চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। এবছরও বাড়িতে উমার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন তাঁরা।