মহাকাশ গবেষণায় একাধিক বিশ্বরেকর্ড ভারতের! কবে চাঁদে পাঠানো হবে মহাকাশচারী? জানাল ISRO

Published on:

Published on:

Recent news of Indian Space Research Organisation.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো (Indian Space Research Organisation) আজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মহাকাশ সংস্থাগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। কম খরচে মহাকাশ গবেষণায় সাফল্য এনে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কিংবা চিনের মতো দেশগুলির সঙ্গে সমানে টক্কর দিচ্ছে ভারত। ইসরো ইতিমধ্যেই মহাকাশ অভিযানে নয়টি বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছে এবং বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বর্তমান গতিতে এগোতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরও আট থেকে দশটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করবে ভারত। এই প্রসঙ্গে ১৬ সেপ্টেম্বর এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন ইসরোর চেয়ারম্যান, যিনি জানান খরচ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নতুন সাফল্যের ইতিহাস গড়ছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।

নতুন লক্ষ্যে ইসরো (Indian Space Research Organisation):

২০০৮ সালে ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-১ মহাকাশ গবেষণায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল। ওই মিশন চাঁদের মাটিতে জলের অণুর উপস্থিতির প্রমাণ দেয়, যা বৈজ্ঞানিক মহলে বড়সড় আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। এর পরবর্তী অধ্যায়ে আসে ২০১৪ সালের ‘মঙ্গলযান’। মাত্র একবারের চেষ্টাতেই মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে সফলভাবে পৌঁছে যায় ভারতীয় মঙ্গলযান, যা বিশ্বের অন্য কোনও দেশ প্রথমবারে করতে পারেনি। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পরেই বিশ্বজুড়ে ইসরো-কে (Indian Space Research Organisation) স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় মহাকাশ শক্তিধর দেশগুলি।

আরও পড়ুন:পুজোর আগেই ‘গিফট’! নতুন GST ও প্রধানমন্ত্রীর যোজনায় বাংলার লাভ কত জানেন?

২০১৭ সালে ইসরো (Indian Space Research Organisation) আরেকটি নজির গড়ে তোলে, যখন PSLV-C37 রকেট একসঙ্গে ১০৪টি স্যাটেলাইট মহাকাশে বহন করে নিয়ে যায়। এত সংখ্যক স্যাটেলাইট একসঙ্গে উৎক্ষেপণ করার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। আর ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে আরেকটি গৌরবের অধ্যায় যুক্ত হয়। চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে, ফলে ভারত প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনোর কৃতিত্ব অর্জন করে। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এই অভিযানের প্রশংসা করেন এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার দক্ষতাকে নতুন করে স্বীকৃতি দেন।

ইসরোর (Indian Space Research Organisation) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এত সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে খরচ বাঁচানোর এক অনন্য কৌশল। প্রতিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা হয় এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে কার্যত সীমিত বাজেটেই অসাধারণ ফলাফল এনে দেন বিজ্ঞানীরা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মাত্র ২৮ মাসের মধ্যে ক্রায়োজেনিক স্টেজের সফল উড়ান। যে কাজটি অনেক দেশ কয়েক বছরেও করতে পারেনি, ভারত তা দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করেছে। এর ফলে প্রতিটি প্রকল্পের ব্যয় অন্য দেশগুলির তুলনায় অনেক কম থাকে।

Recent news of Indian Space Research Organisation.

আরও পড়ুন:বাজেটের দ্বিগুণ টাকায় বিক্রি ছবির স্বত্ব! এবার OTT-তে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’?

ইসরো (Indian Space Research Organisation) ইতিমধ্যেই শতাধিক রকেট ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এবং আগামীর লক্ষ্য আরও উচ্চাভিলাষী। ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা। এর পাশাপাশি মহাকাশে গবেষণা, স্যাটেলাইট পরিষেবা, নেভিগেশন প্রযুক্তি এবং গ্রহ গবেষণার ক্ষেত্রেও বহু বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইসরোর ক্রমবর্ধমান সাফল্য শুধু ভারতকে মহাকাশ প্রযুক্তির অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে না, বরং গোটা বিশ্বকেও দেখিয়ে দিচ্ছে— সীমিত সম্পদ নিয়েও কীভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শীর্ষস্থানে পৌঁছনো যায়।