বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আগে রাস্তা পরিদর্শনে বেরিয়ে কার্যত বিপাকে পড়লেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখার সময় এক মহিলার সরাসরি অভিযোগে চাপে পড়েন তিনি।
মহিলার অভিযোগে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন মেয়র (Firhad Hakim)
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ১৬ নম্বর বরোর অধীনে একাধিক রাস্তায় পরিদর্শনে যান ফিরহাদ (Firhad Hakim)। বেহালার জেমস লং সরণি, শখেরবাজারের মতিলাল গুপ্ত রোড, হরিদেবপুরের মহাত্মা গান্ধী রোড ঘুরছিলেন তিনি। সেই সময় ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলা আচমকাই মেয়রের গাড়ির সামনে এসে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, “গত বছর রাস্তার যা অবস্থা ছিল, এবছরও তাই আছে।” এই অভিযোগ শুনেই কার্যত কিছুটা অপ্রস্ত হয়ে যান ফিরহাদ হাকিম।
মহিলা অভিযোগ করেন, “গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারের অবস্থা গত বছর পুজোর সময় যা ছিল, এবারও তাই আছে। এছাড়া ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা ঠিক করা হয়েছে, কিন্তু এক-দু মাসের মধ্যে আবার খারাপ হবে, আবার সামনের বছর পুজোয় ঠিক হবে।”
এর উত্তরে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, মূলত যেখানে জল জমে সেই সব জায়গার রাস্তাই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই পেভার ব্লক বসিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু মহিলা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, বাঁকুড়া বা পুরুলিয়াতেও রাস্তা ভাল, অথচ সেখানেও তো রাজ্য সরকারই রাস্তা তৈরি করছে। এই প্রশ্নে ফিরহাদের জবাব কার্যত বিতর্ক ডেকে এনেছে। তিনি বলেন, “ওখানে জল নেই, ড্রেন নেই, ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই নেই।” ফিরহাদের এই মন্তব্যে বিরোধীদের প্রশ্ন ‘জঙ্গলমহলে পরিষেবা নেই, এই কথাই কি বলতে চাইলে মেয়র?’
বিতর্ক বাড়তে থাকায় পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ (Firhad Hakim) ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “কলকাতায় ইউটিলিটি বেশি। বাইরের জায়গায় ঝড় হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। কলকাতায় কিছু হয় না কারণ মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের কানেকশন দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ “পরিকল্পিত খুন”, নবদ্বীপের বিজেপি কর্মী সঞ্জয়ের মৃত্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু
ফিরহাদের (Firhad Hakim) ওই মন্তব্য বিজেপি নেতা সজল ঘোষ খোঁচা দিয়ে বলেন, “অন্যান্য জায়গায় যে ন্যাশনাল হাইওয়ে তৈরি হয়েছে, সবই কেন্দ্র করেছে। যা খাওয়ার খাওয়া হয়ে গিয়েছে, এখন শুধু ঈশ্বরই ভরসা।”