মদ্যপ অবস্থায় ডেকে ‘ব্যাড টাচ’, সাত দিনের জেল হেফাজতে প্রধান শিক্ষক, চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে

Published on:

Published on:

alipurduar school teacher arrested rape case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারে স্কুলের নিজের ঘরে চার ছাত্রীকে ডেকে যৌন হেনস্তার (Rape) অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্তকে সাতদিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

শিক্ষক ছাত্রীদের ‘ব্যাড টাচ’ (Rape) করেছিলেন বলে অভিযোগ

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলেই প্রধান শিক্ষক চার ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নেন। সেই সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওই সময়, শিক্ষক ছাত্রীদের ‘ব্যাড টাচ’ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে ভয়ে কিছু বলতে না পারলেও পরে হোস্টেল সুপারের কাছে ঘটনাটি জানানো হয়।

ঘটনার (Rape) দিনই রাতে ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায় এবং প্রধান শিক্ষকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার অভিযুক্তকে আলিপুরদুয়ার জেলার অতিরিক্ত দায়রা আদালতে তোলা হয়। ওই দিন অভিযুক্তের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু সরকারি আইনজীবী পীযুষকান্তি দত্ত ওই আবেদনের বিরোধিতা করেন। শেষ পর্যন্ত বিচারক ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাত দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আলিপুরদুয়ার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাড টাচের অভিযোগ রয়েছে।” জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান অসীম বোস জানান, “আমাদের কাউন্সেলররা ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাথমিক কাউন্সেলিং করা হয়েছে। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।”

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও পুলিশ ও আদালত এই অভিযোগকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং আদালত ও পুলিশ সতর্কভাবে বিষয়টি যাচাই করছে।

alipurduar school teacher arrested rape case

আরও পড়ুনঃ ‘পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় জল-বিদ্যুৎ নেই’, মহিলার প্রশ্নে বিতর্কিত জবাব ফিরহাদের, পাল্টা খোঁচা দিয়ে বিরোধীরা বললেন…

ছাত্রীদের মানসিক সহায়তার জন্য প্রাথমিক কাউন্সেলিং করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি পুরো বিষয়টি মনিটর করছেন। এই ঘটনায় (Rape) এলাকার নিরাপত্তা ও স্কুলের দায়িত্বশীলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।