বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রাত থেকে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গতকাল রাত ৯টার পরে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ‘বিস্ফোরক’ পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নাম না করেই দলের এক নেতাকে নিশানা করেন তিনি। এরপর আচমকাই নিজের এক্স বায়ো থেকে মুছে ফেলেন রাজনৈতিক পরিচয়। এবার জানা গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জানিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল রাত থেকে কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট (X Handle Bio) নিয়ে যে চর্চা শুরু হয়েছিল শুক্রবার সকালে তা অন্য মোড় নেয়। বায়ো থেকে রাজনীতিকের পরিচয় মুছতেই তাঁর পদ ছাড়ার জল্পনা তীব্র হতে শুরু করে। এবার সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (State General Secretary) এবং মুখপাত্র (TMC Spokesperson) পদ ছাড়তে চাইছেন তিনি। দলে থাকলেও পদে আর নেই তিনি! ইতিমধ্যেই নাকি মমতা-অভিষেককে এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। ছেড়ে দিয়েছেন সরকারি নিরাপত্তা।
নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, @AITCofficial দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 29, 2024
ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১২টা অবধি কুণাল ঘোষের এক্স বায়োতে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় উল্লিখিত ছিল। এরপরেই তা মুছে ফেলেন। এখন শুধু ‘সাংবাদিক’ এবং ‘সমাজকর্মী’ হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে দানা বাঁধতে শুরু করে কুণাল ঘোষের পদ ছাড়ার জল্পনা। এখন শোনা যাচ্ছে, দল না ছাড়লেও পদ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি!
গতকাল রাতে কুণাল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক। দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের ওপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে সেটা বারবার হতে পারে না’। জানা যাচ্ছে, নিজের পোস্টে কারোর নাম না নিলেও কুণাল ‘টার্গেট’ করেছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুনঃ CID-কে রোয়াব শাহজাহানের! বারবার একই প্রশ্নের উত্তর দেব না, সাফ জানিয়ে দিলেন সন্দেশখালির বাঘ
ঘটনাচক্রে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কলকাতায় বৈঠক করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে দেখা গেলেও কুণাল ঘোষকে দেখা যায়নি। তাহলে কি সাংগঠনিক বৈঠকে ডাক না পাওয়ার কারণেই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কুণাল?