অশান্তির আগুনে পুড়ে ছাই প্রায় গোটা দেশ, আর্থিক ক্ষতিপূরণ মেটাতে পুনর্গঠনে মরিয়া নেপাল

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নেপালে (Nepal) সম্প্রতি Gen Z-এর নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞের পর এবার পুনর্গঠন অভিযানের পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রশাসনের শীর্ষ মহল জানিয়েছে, শীঘ্রই একটি জাতীয় পুনর্গঠন কর্মসূচি শুরু হবে। বর্তমানে সরকারি সংস্থাগুলি বিক্ষোভকালে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত সম্পত্তির তালিকা তৈরি করছে, যা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।

পুনর্গঠনের পথে নেপাল (Nepal)

জ্বালানি, পরিকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রী কুলমান ঘিসিং সম্প্রতি সংসদ ভবন পরিদর্শন করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য জাতীয় স্তরে সচেতনতা প্রচার শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানান, শুধু কাঠমান্ডুই নয়, গোটা নেপাল (Nepal) জুড়েই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত সপ্তাহের বিক্ষোভে সংসদ ভবন কার্যত ধ্বংস হয়ে যায়। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সিংহ দরবার, সুপ্রিম কোর্ট, কর্তৃত্বের অপব্যবহার তদন্ত কমিশন এবং একাধিক পুলিশ ইউনিট আগুনে ভস্মীভূত হয়। রাজধানীর বাইরে আরও শত শত সরকারি ও বেসরকারি ভবন অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে ঘিসিং বলেন, সরকার দেশ-বিদেশের সব নেপালি নাগরিককে জাতীয় পুনরুদ্ধারে অবদান রাখতে আহ্বান জানাবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামো পুনর্নির্মাণের জন্য বাজেট বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

আরও পড়ুন:অপারেশন সিঁদুরে খতম মাসুদ আজহারের ভাই, স্মরণসভার আড়ালে নতুন ষড়যন্ত্রের ছক পাকিস্তানে!

নেপালের (Nepal) নতুন অর্থমন্ত্রী রমেশ্বর খানাল ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করে আশ্বাস দেন যে বেসরকারি খাতের অভিযোগ ও সমস্যাগুলি সমাধানে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি খাতে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য একটি বিশেষ তহবিল তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে একটি “সমন্বিত ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা” চালুর কথাও ঘোষণা করেন তিনি। কর এবং আর্থিক নীতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।

অন্যদিকে, মুখ্যসচিব একে নারায়ণ আরিয়ালের নেতৃত্বে সরকারি সচিবদের এক বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পূর্ণ ডাটাবেস তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনকে অর্থ মন্ত্রক এবং জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় একটি দুর্যোগ-পরবর্তী চাহিদা মূল্যায়ন (PDNA) প্রতিবেদন প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (Nepal)।

Nepali desperate to rebuild the country

আরও পড়ুন: নেপালের আগুন থেকে বাঁচাতে সেনার হেলিকপ্টারে করে সরানো হয়েছিল ওলিকে! কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

প্রথম দিন থেকেই পুনর্গঠনের ডাক দিয়ে মন্ত্রী ঘিসিং বলেন, “আসুন আমাদের পরিকাঠামো আমরা নিজেদের হাতেই গড়ে তুলি।” সরকারের এই উদ্যোগই নেপালবাসীর (Nepal) কাছে আগামী দিনের ভরসা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।