‘প্রায় ১০টি রাজ্যে..’, পুজোর আগেই বকেয়া DA মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টে কি বলল রাজ্য সরকার?

Published on:

Published on:

dearness allowance(43)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে শেষ হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি (Dearness Allowance)। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বিশেষ বেঞ্চে। এবার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে লিখিত বক্তব্য জমা দিল রাজ্য সরকার। কি বলা হয়েছে তাতে?

সুপ্রিম নির্দেশ মত লিখিতভাবে বক্তব্য জানাল রাজ্য | Dearness Allowance

এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ডিএ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল কোন কোন রাজ্যে ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআই (কনজ়্যুমার প্রাইস ইনডেক্স) মেনে কর্মীদের ডিএ প্রদান করা হয় না। লিখিত বক্তব্যে সেই বিষয়ে উল্লেখ করে রাজ্য জানিয়েছে দেশের প্রায় ১০টি রাজ্যে সিপিআই সূচক মেনে ডিএ দেওয়া হয় না।

উল্লেখ্য, ডিএ মামলার রায়দান স্থগিত রেখে সুপ্রিম কোর্ট। ডিএ মামলার শেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, কারও কোনও বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দিতে হবে। আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ২২শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে লিখিত আকারে তাঁদের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতোই লিখিত আকারে নিজেদের বক্তব্য জানাল রাজ্য।

রাজ্যের পাল্টা বক্তব্য জমা দিতে চান মামলাকারী সরকারি কর্মচারীদের একাংশের আইনজীবী করুণা নন্দী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্য বক্তব্য জানানোর এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ২৯শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাকারীরা রাজ্যের জবাবের প্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য জানাবেন সুপ্রিম কোর্টে। তার তিন সপ্তাহ পর লিখিত জবাব দেখবে আদালত। তারপর ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় সামনে আসবে।

dearness allowance(34)

আরও পড়ুন: উত্তাল হবে সমুদ্র! নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতি থেকে ভারী বৃষ্টির তোলপাড় দক্ষিণবঙ্গে, রেহাই পাবে কলকাতা?

ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় কবে? Dearness Allowance

প্রথমে মনে করা হচ্ছিল অক্টোবর মাসে ডিএ মামলার রায়দান হবে। তবে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, দুর্গাপুজো এবং দীপাবলির ছুটির কারণে অক্টোবরে রায় বেরোনোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে আদালত তরফে কোনও আপডেট এখনও সামনে আসেনি।