বাংলা হান্ট ডেস্ক: এ যেন এক অমানবিক অত্যাচার। চাহিদা মত পণ না মেলায় শাস্তি পেল নববধূ। নববধূকে ঘরে আটকে রেখে সাপ ছেড়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। পাশাপাশি সাপ কে দেখে ভয়ে বাড়ির ভেতরে আটকে থাকা বউ এর নাচ দেখে হাসছেন স্বামী সহ অন্যান্য পরিবারে সদস্যরা। এই ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে (Kanpur)। যদিও ওই ঘটনার পর সাপের ছোবল খেয়ে অবস্থা খারাপ হয় নির্যাতিতা মহিলার। এর পাশাপাশি এই ঘটনা গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিয়ের পরই নির্যাতন, পণের দাবিতে নববধূর ঘরে সাপ ছেড়ে দিল পরিবার (Kanpur)
কানপুরের (Kanpur) ঘটে যাওয়া ঘটনায় যথারীতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে কোনক্রমে ফোন করেছিলেন তার বড় দিদিকে। ফোন পাওয়ার পর সেই দিদি নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতা দিদি জানান, চলতি বছর ১৯ মার্চ তার বোন রেশমার বিয়ে হয়েছিল শাহনাওয়াজের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই ৫ লাখ টাকা পণের দাবি করে শাহনাওয়াজের পরিবার। সেখান থেকেই অশান্তি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে ট্রেনের ঝামেলায় পড়বেন না, চারচাকা ভ্রমণেই জমে উঠবে মামুডি যাত্রা
যদিও এর আগে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় ওই নির্যাতিতার ওপরে। যা ১৮ তারিখ মারাত্মক আকার নেয়। বহু চাপাচাপির ফলে রেশমার পরিবার তার শ্বশুর বাড়িতে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও মন ভরে নি তাদের। তাই পণের দাবি মেটানোর জন্য রেশমাকে বাড়িতে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। তারপর তাকে শায়েস্তা করতে ড্রেন দিয়ে সেই ঘরে একটি সাপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার দিদি।
বন্ধ ঘরে সাপ দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে যান রেশমা। অভিযোগ গভীর রাতে সাপটি রেশমার পায়ে কামড় দেয়। এই ব্যথায় চিৎকার করতে থাকলে সে করে শেকল খোলেনি শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বরং তারা বাইরে দাঁড়িয়ে হাসাহাসি করতে থাকে।
এরপর কোনক্রমে দিদিকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান রেশমা। তারপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোনকে গুরুতর অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এরপরই সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তি করানো হয় জরুরী চিকিৎসার জন্য। যদিও এই ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শাহনাওয়াজ, তার বাবা, মা, বড় ভাই, বোন ও আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।