বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডানকুনি যুব সভাপতির নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হওয়া বিতর্কে এবার সরব হলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। রবিবার সন্ধ্যায় চণ্ডীতলায় এক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি কার্যত দলের ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন যে, “কিছু পেলাম না বলে যদি কেউ দলের বিরোধিতা করে, তবে সে দলের শত্রু। তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।” রাজনৈতিক মহলে মনে করছে এভাবেই নিজের ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেন কল্যাণ।
কোথা থেকে শুরু হয় বিতর্ক?
প্রসঙ্গত, গত শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক জেলার সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করে। সেই তালিকাতেই উঠে আসে ডানকুনি টাউনের যুব সভাপতি হিসাবে নাম ওঠে জিয়ারুল আকানের। আর এই নিয়োগ ঘিরেই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সূর্য দে ও হাসান মণ্ডল। তাঁদের অভিযোগ, “জিয়ারুল আকান একজন ‘ক্রিমিনাল’। নিয়ম করে প্রতিদিন বারে যাওয়া তার রুটিন। রাজনীতি না করেই পদ পেয়েছে, সব আইপ্যাকের রিপোর্টে।”
কল্যাণের (Kalyan Banerjee) সতর্কবার্তা
এই প্রেক্ষিতেই রবিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, “একটা রাজনীতিবিদের সবথেকে বড় পরিচয় হল মানুষের ভরসা। কে কী পদ পেল সেটা বড় কথা নয়। সবাই সবকিছু পায় না। যে যা পায়, সেটুকুই মেনে নিতে হয়। তর্ক-বিতর্ক দলীয় পরিসরে চলবে, বাইরে নয়।” এদিন কল্যাণের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিল, প্রকাশ্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
কল্যাণের (Kalyan Banerjee) বক্তব্যের পরই সুর নরম করেন কাউন্সিলর সূর্য দে। তিনি বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন, তা ঠিক বলেছেন। আমিও দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। উনি আমার জন্য এই কথা বলেননি।” তবে অন্য কাউন্সিলর হাসান মণ্ডল এ বিষয়ে আর মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুনঃ অসম্পূর্ণ আবাসন প্রকল্পে অর্থ সহায়তার নির্দেশ, কড়া নজরদারির বার্তাও দিল সুপ্রিম কোর্ট
এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরের অশান্তি আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে মনে করছে বিরোধীরা। একদিকে জিয়ারুলকে নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন, অন্যদিকে সাংসদের (Kalyan Banerjee) বার্তায় স্পষ্ট হয়ে গেল, প্রকাশ্যে দলের বিরোধিতা সহ্য করতে নারাজ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এখন দেখার বিষয়, ডানকুনির মাটি শান্ত রাখতে তৃণমূল কীভাবে পরিস্থিতি সামলায়।