ব্রহ্মোসের মতো শক্তি! ১,০০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম, শীঘ্রই পরীক্ষা ভারতের নতুন ক্রুজ মিসাইলের

Published on:

Published on:

Indigenous Technology Cruise Missile Test to be completed soon.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারত ক্রমশ সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী হচ্ছে। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। ভারত তার নৌবাহিনীর আক্রমণ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে চলেছে। DRDO এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইন্ডেজিনাস টেকনোলজি ক্রুজ মিসাইল (Indigenous Technology Cruise Missile) বা ITCM জাহাজ থেকে লঞ্চ টেস্ট পরিচালনা করবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় নৌবাহিনীকে ১,০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শত্রুদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম করবে। পাশাপাশি, এই গুরুত্বপূর্ণ মিসাইল পরীক্ষা ভারতের দীর্ঘ রেঞ্জের সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল সরবরাহের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ITCM (Indigenous Technology Cruise Missile) কী:

জানিয়ে রাখি যে, ITCM (Indigenous Technology Cruise Missile) ১,০০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শত্রুর অবস্থান লক্ষ্য করে আঘাত হানতে পারে। এটিকে নির্ভয় মিসাইলের একটি উন্নত সংস্করণ বলা হয়। এই মিসাইল সাবসনিক অর্থাৎ, ধীরে ধীরে চলে। যেটি আকাশ ও স্থল উভয় দিক থেকেই আক্রমণ চালাতে সক্ষম। এই মিসিয়ালের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাডভান্স অ্যাভিওনিক্স, নেভিগেশন এবং মাটির খুব কাছে উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা। এর ফলে এটি শত্রুর রাডার এড়িয়ে যায়।

Indigenous Technology Cruise Missile Test to be completed soon.

মিসাইলের তাৎপর্য: এই মিসাইল (Indigenous Technology Cruise Missile) ভারতের স্বদেশী প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং সামুদ্রিক ক্ষেত্রে তার অবস্থান সুপ্রতিষ্ঠিত করবে। বিশেষ করে ইন্দো-মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলি এই মিসাইলের চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মিসাইলটি ব্রহ্মোসের মতো মতো ব্যয়বহুল বিকল্পগুলির তুলনায় কম বাজেটে পাওয়া যায়।

ITCM-এর বিভিন্ন রূপ:
LRLACM: এটি একটি মোবাইল লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা হয় এবং দীর্ঘ দূরত্বে শত্রু অবস্থান, কমান্ড সেন্টার এবং কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এই মিসাইল ১২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ওড়িশার চাঁদিপুরে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: জুবিনের মৃত্যুতে ক্রিকেট দুনিয়ায় মনখারাপ, মহিলা বিশ্বকাপের উদ্বোধনে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য! ঘোষণা BCCI-র

SLCM: এই মিসাইলটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই মিসাইলকে সাবমেরিন থেকে লঞ্চ করা হয় এবং জলের নিচ থেকে এটি আক্রমণ করতে সক্ষম।

বিমান থেকে উৎক্ষেপণ: এই সংক্রান্ত মিসাইলের কাজ এখনও চলছে। যেটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীন অপারেশন সিঁদুরকে ব্যাঙ্গ? পাক খেলোয়াড় হ্যারিস রউফকে যোগ্য জবাব ভারতীয় অনুরাগীদের

জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ: এবার মিসাইলের এই ভেরিয়েন্ট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এটি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি: জানিয়ে রাখি যে, DRDO যুদ্ধজাহাজের জন্য একটি অস্থায়ী উল্লম্ব উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা (VLS) তৈরি করছে, যা ITCM (Indigenous Technology Cruise Missile)-কে সরাসরি জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করার সুযোগ দেবে। ভবিষ্যতে, এই লঞ্চারটিকে ধীরে ধীরে ইউনিভার্সাল ভার্টিক্যাল লঞ্চ মডিউল (UVLM) দিয়ে প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেটি ব্রহ্মোস এবং ITCM উভয়ের স্থাপনকে আরও সহজ করে তুলবে।