বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন জিএসটি কাঠামো। দেশের সব জায়গায় নতুন নিয়ম অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ একাধিক পণ্যের উপর কর কমেছে। এর ফলে অন্তত ১৫০টি জিনিসের দাম কমে গিয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। আর সেই ঘোষণাকে সামনে রেখেই কার্যত নির্বাচনী মাঠে নামল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।
বাগুইআটি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন শমীক (Samik Bhattacharya)
সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন বাজারে ঘুরতে দেখা গেল শমীক ভট্টাচার্য কে (Samik Bhattacharya)। এদিন তিনি বাজারে গিয়ে খোঁজ নেন পণ্যের দাম কতটা কমেছে, টা নিয়ে। এদিন বাগুইআটি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। দোকানদারদের সাথে কথা বলার পর শমীক ভট্টাচার্য করলেন, “মোদী সরকারের ঐতিহাসিক পদক্ষেপে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, উপকৃত হবেন ছোট দোকানদাররা।” এদিন বিজেপি নেতৃত্ব আরও দাবি করে বলেন, উৎসবের মরশুমে এই সিদ্ধান্তের ফলে সরাসরি উপকৃত হবেন রাজ্যের মানুষ।
শুধু বাজার নয়, একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয় বঙ্গ বিজেপি। সকাল থেকেই শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদাররা তাঁদের প্রোফাইল ছবি বদলে দিয়েছেন। নতুন ডিপিতে লেখা ‘কমল জিএসটি, মিলল উপহার। ধন্যবাদ মোদী সরকার।’ বিজেপির দলীয় নেতৃত্বরা এই প্রসঙ্গে বলেন, এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষকে জানাতে যে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে কীভাবে উপকৃত হবেন।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, “বাঙালির উৎসবকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। মাতৃপক্ষ শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৫০-র বেশি জিনিসের দাম কমে যাচ্ছে। এটা দেশবাসীর জন্য মোদী সরকারের উপহার।”
পাল্টা জবাব দিল তৃণমূল
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই এই কৃতিত্ব বিজেপিকে দিতে নারাজ। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আন্দোলন তো করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার বাধ্য হল দাম কমাতে। আসলে বিজেপি ভোট হারানোর ভয়েই GST কমিয়েছে। আগেও কষ্ট ছিল, আজ হঠাৎ কষ্ট চোখে পড়ল?”
আরও পড়ুনঃ ‘দুর্ভাগ্যজনক’ রিপোর্ট! আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটকে দায়ী করায় কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নতুন GST কাঠামোকে ঘিরে একদিকে বাজারে যেমন উচ্ছ্বাস, অন্যদিকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উৎসবের আগে এই GST হ্রাস যে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে, তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা রাজ্যের শাসক দলের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে।