বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রেফতার হলেও ‘ঔদ্ধত্য কমেনি শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)। দুঁদে সিআইডি অফিসারদের জেরায় আস্তে আস্তে মুখ খুললেও পুরোপুরি ভাঙতে নারাজ তিনি! ভবানী ভবনের (Bhabani Bhawan) লক আপেই মিলছে সেই প্রমাণ। সকাল হতেই মাখন-পাউরুটি, লাঞ্চে চাই মাটন। রাতেও আমিষ ছাড়া চলবে না সন্দেশখালির ‘বাঘে’র। সব মিলিয়ে, সিআইডি হেফাজতেও ‘বাদশাহি মেজাজে’ই আছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বসিরহাট আদালতে তাঁর তর্জনী নাড়ার দৃশ্য নিয়ে গত দু’দিন ধরে চর্চা চলছে। যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তার শরীরী ভাষা দেখে সেকথা বোঝার উপায় নেই! পরশুদিন আদালত থেকে সরাসরি ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই নেতাকে। ১০ দিন সিআইডি (CID) হেফাজতে থাকবেন তিনি। লাগাতার জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। প্রথম প্রথম তদন্তে সেভাবে সহযোগিতা না করলেও এখন আস্তে আস্তে মুখ খুলছেন বলে খবর।
ইডির (ED) ওপর হামলার পর কোথায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন ইতিমধ্যেই তা জানিয়েছেন শাহজাহান। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার মোটের ওপর চুপচাপই ছিলেন তিনি। নিয়মমাফিক খেয়েছেন, শুয়েছেন মেঝেতে। যদিও তা নিয়ে বিস্তর অনীহা ছিল তাঁর। আচমকা তাঁর জীবন যে এভাবে বদলে গিয়েছে সেটা যেন বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না সন্দেশখালির এই নেতা।
এদিন সকাল থেকে হাবেভাবে শাহজাহান বুঝিয়ে দিয়েছেন, সন্দেশখালিতে সবই হয় কার্যত তাঁর নির্দেশে। তাঁর অধীনে কত ছেলে কাজ করে, কতজনকে রোজগারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সবই শুনিয়েছেন তিনি। তবে তদন্তকারীরা একটি প্রশ্নেই অনড় ছিলেন। ৫ জানুয়ারি ইডিকে আটকানোর দরকার কেন পড়লো? প্রথমে শাহজাহান বলেন, ‘আমি তো কাউকে বাধা দিইনি। আমার নাম কেন আসছে?’ পরে অবশ্য মেনে নেন ঘটনার সময় তিনি নিজের বাড়িতেই ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, হামলায় যারা জড়িত তাঁদের চেনেন বলেও জানান শাহজাহান।
আরও পড়ুনঃ দুর্নীতির তদন্ত দ্রুত শেষ করুন! বিশেষ বৈঠকে মোদীর কাছে আর কী কী আর্জি জানালেন শুভেন্দু-সুকান্ত?
সন্দেশখালির এই নেতার অবশ্য দাবি, গণ্ডগোল করার জন্য তিনি লোক ডেকে আনেননি। তাঁর বাড়িতে ইডি আসছে শুনে এলাকার মানুষ আপনা থেকেই জড়ো হয়েছিল। কী ভেবে ইডির ওপর হামলা করা হয়েছিল সেই বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলে জানান শাহজাহান। তাহলে সেই মুহূর্তে ঘনিষ্ঠদের কেন ফোন করেছিলেন? ফোন করার কথা স্বীকার করলেও গণ্ডগোলের নির্দেশ তিনি দেননি, একথাই জানান সন্দেশখালির নেতা। এমনকি ইডির লুট হওয়া ল্যাপটপ সহ অন্যান্য সামগ্রীর হদিশও তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন শাহজাহান। তাঁর কথায়, ‘আমার কাছে তো ওসব আসেনি! কোথায় আছে, আমি কীভাবে বলবো?’