বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর শুরুতেই ফের অশান্তির ছায়া কলকাতায়। উৎসবের আগে একের পর এক শুটআউট এবং শহরে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় চিন্তিত লালবাজার। মহালয়ার দিন অর্থাৎ রবিবার দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট এলাকার একটি জিমে হঠাৎই পরপর গুলি চালায় দুই আততায়ী। আর তার ঠিক পরদিনই, সোমবার পশ্চিম বন্দর এলাকায় রাস্তার উপরে প্রকাশ্যে গুলিতে প্রাণ হারান এক যুবক। টানা দু’দিনের ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।
কলকাতায় এত অস্ত্র ঢুকছে কোথা থেকে? নজরদারিতে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)
এদিন শহরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা (Manoj Verma) এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “শহরে দু’দিন ধরে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। এদিনও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের বাইরে থেকে অস্ত্র পাচার হচ্ছে, বিশেষ করে বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে। সেই পাচার রুখতে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, চলতি বছরে বহু অস্ত্র কলকাতা পুলিশ উদ্ধার করেছে। বাইরে থেকে অস্ত্র ঢোকার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশ বিশেষ অভিযান চলছে বলে জানান কমিশনার।
প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিন চারু মার্কেটের একটি জিমে আতঙ্ক ছড়ায়। রেনকোট ও হেলমেট পরে ওই জিমে ঢুকে পড়ে দুই দুষ্কৃতী। মুহূর্তের মধ্যেই তারা গুলি চালাতে শুরু করে। একটি গুলি মেঝেতে লাগে, আরেকটি সিলিংয়ে। তারপরেই বাইকে করে চম্পট দেয় তারা। তদন্তে উঠে এসেছে, প্রোমোটিং ব্যবসা ঘিরে বিবাদের জেরেই এই হামলা। পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে খবর, কসবার এক গ্যাংস্টারের সঙ্গে জিমের এক মালিকের যোগাযোগ ছিল। তবে সেই সম্পর্ক কতটা গভীর ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তের জন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিম মালিকের প্রোমোটিং ব্যবসায় কারা যুক্ত ছিল, কারা হুমকি দিচ্ছিল, সব দিকেই নজর রাখছে পুলিশ (Kolkata Police)। আততায়ীদের ব্যবহৃত বাইক, গ্যাংস্টার সংযোগ এবং অস্ত্রের উৎস নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রেকর্ড বৃষ্টিতে অচল কলকাতা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৭ মৃত্যুতে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা, কাকে দোষ দিলেন?
প্রসঙ্গত, উৎসবের মরশুমে শহরে টানা গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। পুজোর আবহে বারবার এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত রাজ্যের সাধারণ মানুষ। এই পরীক্ষা দিতে লালবাজার নিশ্চিত করতে চাইছে যে, পুজোর আনন্দে যেই এই ধরনের ঘটনা কোন আঁচ ফেলতে না পারে। তার জন্য অস্ত্র পাচার কোথা থেকে হচ্ছে? কোথা থেকে রাজ্যে অস্ত্র আসছে? এই সব দিকে নজর রাখছে পুলিশ (Kolkata Police)।