সোমবারের বৃষ্টি ‘অ্যাবনর্মাল’, শহরবাসীর দুর্ভোগ চরমে, মেয়র বললেন ‘প্রকৃতির সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা নেই’

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোর মুখে ভোগান্তির একশেষ শহরবাসীর। রাতভর বৃষ্টিতে শহরজুড়ে কোথাও হাঁটু জল, কোথাও আবার কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই, যে এলাকায় কখনও জল জমার রেকর্ড নেই, সেখানেও এবার জল জমতে দেখে অবাক বাসিন্দারা। হতভম্ব খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিজেও। জানালেন, এই বৃষ্টির সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা পুরসভার নেই।

জমা জল নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)

সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে ডুবন্ত অবস্থা শহর কলকাতার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র এক ছবি। সপ্তাহের শুরুতেই এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বেরিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বহু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র (Firhad Hakim) বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা পুরসভার নেই। এবারের বৃষ্টিকে ‘অ্যাবনর্মাল’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Firhad Hakim opened up about water logging in Kolkata

কী জানালেন মেয়র: ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, ‘এমন মেঘভাঙা বৃষ্টি কখনও কলকাতায় দেখিনি। আমি এই শহরেই জন্মেছি, বড় হয়েছি। খবরের কাগজে পড়েছিলাম, উত্তরাখণ্ড বা কাশ্মীরে এভাবে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কলকাতায় ৩০০ মিমি এর বেশি বৃষ্টি আগে হয়নি’। যদিও আলিপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার রাতে যে বৃষ্টি কলকাতায় হয়েছে তা নজিরবিহীন। সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বালিগঞ্জ এলাকায়, প্রায় ২৯৫ মিলিমিটার। সবথেকে কম বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার দক্ষিণ দমদমে, মাত্র ৬১ মিলিমিটার।

আরও পড়ুন : পেঁয়াজ-মটন একসঙ্গে কষলেই বেরোবে আসল স্বাদ, চেখে দেখুন বাঙাল বাড়ির স্পেশ্যাল খাসির রেসিপি

কতদিন চলবে ভোগান্তি: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র (Firhad Hakim) বলেন, নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সমুদ্র উত্তাল। খাল উপচে পড়ছে। ড্রেনেজ সিস্টেমে জল ফেলতে গেলেও তা ব্যাক ফ্লো হয়ে আবার শহরে ঢুকে পড়ছে। জল খালে না গেলে শহর থেকে নামবে কী করে? তিনি আরও জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ হুগলি নদীতে বড় বান আসার কথা রয়েছে। তারপরেই জল ফেলা যাবে। কলকাতায় জল জমলে আগে তা আগে খালে ফেলতে হয়। সেটা যায় নদীতে, তারপর সমুদ্রে। আর সমুদ্র যদি ভরে থাকে তবে সেই প্রক্রিয়াও থেমে যায়। ধৈর্য ধরার বার্তা দিয়ে তিনি (Firhad Hakim) বলেন, আর যদি বৃষ্টি না হয় তবে রাতের মধ্যে জল নেমে যাবে।

আরও পড়ুন : সদস্য বাড়ছে বলিউডে, গুঞ্জন সত্যি করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ক্যাটরিনার, কবে আসছে প্রথম সন্তান?

ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরসভার পাইপ সিস্টেম দিয়ে ঘন্টায় ২০ মিমি জল নামতে পারে। কিন্তু এবার ৩০০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। এত জল নামতে সময় লাগবে, এর বাইরে কিছু করার নেই। উপরন্তু প্লাস্টিকের বোতল, আবর্জনা গালিপিট, খালে জমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলেও স্বীকার করে নেন মেয়র। গালিপিট খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকৃতির কাছে মানুষ অসহায়। বৃষ্টি না কমলে দুর্ভোগ কমবে না।