সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ, বৌবাজার বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত খালিদের মুক্তিতে ‘ব্রেক’ টানল হাই কোর্ট

Published on:

Published on:

Calcutta High Court Division Bench Rejects Bowbazar Blast Bail

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুল আলোচিত ১৯৯৩ সালের বৌবাজার বিস্ফোরণ মামলায় বড় মোড়। এই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মহম্মদ খালিদকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।

কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা

গত বছর জুনে হাই কোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ, জেলের মধ্যে খালিদের কাজকর্ম নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্টও জমা পড়েছিল। সাধারণত ১৪ বছর সাজা খাটলে বন্দির মুক্তির আবেদন খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে খালিদ ইতিমধ্যেই ৩১ বছর ধরে জেলে। সেটা মাথায় রেখেই সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁর মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল।

কিন্তু কলকাতা পুলিশ আপত্তি জানায়। পুলিশের দাবি ছিল, এমন অভিযুক্তকে ছেড়ে দিলে সমাজে বিপজ্জনক প্রভাব পড়তে পারে। সেই যুক্তিতেই রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। পরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমে সিঙ্গেল বেঞ্চের ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় এবং অবশেষে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চ সোমবার সেই রায় খারিজ করে দেয়। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য ছিল, খালিদ মুক্তি পেলে ফের এলাকায় অশান্তি তৈরি হতে পারে। তাঁর নাম এখনও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক জাগায়। ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মান্য নয়। তবে অভিযুক্ত নতুন করে মুক্তির আবেদন করলে তা বিবেচনা করতে হবে রাজ্যকে।

রশিদ খানের মামলাও সামনে

এই মামলার মূল চক্রী সাট্টা ডন রশিদ খানও ৩১ বছর ধরে জেলে। রশিদের আইনজীবী ৩০ বারেরও বেশি প্যারোল চেয়েছিলেন, কিন্তু একবারও ছাড়া হয়নি। পুলিশের দাবি, রশিদকে মুক্তি দিলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। যে আতঙ্ক ১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণে তৈরি হয়েছিল, আজও তার রেশ রয়ে গিয়েছে।

Calcutta High Court Division Bench Rejects Bowbazar Blast Bail

আরও পড়ুনঃ কলকাতায় শুটআউটের পর নড়েচড়ে বসল লালবাজার, অস্ত্র উদ্ধারে কড়া নজর কমিশনারের

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের বৌবাজার বিস্ফোরণে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। শহরের বুকে সন্ত্রাসের সেই ঘটনা এখনও কলকাতার ইতিহাসে অন্যতম ভয়ঙ্কর অধ্যায়। সেই মামলাতেই আজও বন্দি খালিদ ও রশিদ। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তাদের জামিনের মামলা উঠলেও ডিভিশন বেঞ্চ ফের অশান্তির আঁচ করে তা খারিজ করে দেয়।