বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক রাতের বাঁধভাঙা বৃষ্টিতেই মঙ্গলবার সকালে শহরবাসীর ঘুম ভেঙেছে জলমগ্ন অবস্থায়। অলিগলি থেকে রাজপথ, উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র একই পরিস্থিতি। এর মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। জমা জলেই ভেসে রয়েছে দেহ। এমতাবস্থায় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে CESC (CESC)।
কলকাতার দুর্ভোগে বড় সিদ্ধান্ত CESC-র (CESC)
শহরের বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (CESC) হয়ে মৃত্যুর খবর মিলেছে। অনেক জায়গায় দেহ উদ্ধারও করা যায়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে দেহ উদ্ধার করা সম্ভবও হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীও এর দায় চাপিয়েছে CESC-র ঘাড়ে।
কী বার্তা এল CESC-র: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, CESC-র (CESC) কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এর আগেও একাধিক এমন দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু CESC সতর্কভাবে কাজ করছে না। এভাবে যেন মানুষের প্রাণ না যায়। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছে বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা (CESC)। বার্তায় বলা হয়েছে, মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জল জমার কারণে পর্যাপ্ত সতর্কতা হিসেবে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সক্রিয় ভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : সদস্য বাড়ছে বলিউডে, গুঞ্জন সত্যি করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ক্যাটরিনার, কবে আসছে প্রথম সন্তান?
কবে ঠিক হবে পরিস্থিতি: CESC-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যখন তাদের জানাবে যে জল নিরাপদ স্তরে নেমে গিয়েছে তখন বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা যাবে। সেই সঙ্গে CESC-র (CESC) বক্তব্য, রাস্তার আলোর খুঁটি এবং ট্রাফিক লাইটগুলি CESC-র মালিকানাধীন বা রক্ষণাবেক্ষণে নয়। তাঁদের টিম সারাক্ষণ কাজ করছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছে।
আরও পড়ুন : সোমবারের বৃষ্টি ‘অ্যাবনর্মাল’, শহরবাসীর দুর্ভোগ চরমে, মেয়র বললেন ‘প্রকৃতির সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা নেই’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, CESC কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। চাকরিও দিতে হবে। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারের পাশে আছে। পুজোর আগে এতগুলি জীবন চলে গেল।