অতিবৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু, দায় কার? ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে একাধিক মামলা

Published on:

Published on:

Calcutta High Court to Hear PIL on Electrocution Deaths After Heavy Rain in Kolkata

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতার একাধিক এলাকা। এই দুর্যোগে শহরে ৮ জন এবং শহরতলিতে ১ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি।

হাই কোর্টের (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আরজি বিধায়কের

জানা যায়, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যাবার ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। বুধবার তিনি কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান। তাঁর দাবি, মৃতদের পরিবারকে অবিলম্বে সরকারি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি এও জানতে হবে, কেন প্রতি বছর বর্ষায় একই ঘটনা বারবার ঘটে।

শুধু নওসাদ নন, আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসও আলাদা করে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বলে খবর সূত্রের। তাঁদের আবেদন, শহরে অতিভারী বৃষ্টিপাত হলেই কেন প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে, সেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অতীতে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ হয়েছিল, তা-ও আদালতের সামনে তুলে ধরতে হবে বলে দাবি জানান হয়েছে।

নওসাদের তরফে স্পষ্ট দাবি, কার গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখতে জুডিশিয়াল এনকোয়ারি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। কেবল ক্ষতিপূরণ নয়, দায় নির্ধারণ করাও জরুরি। বিচারপতি সুজয় পালের এজলাসে এই মামলার শুনানির অনুমতি মিলেছে। খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হতে পারে বলে আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে খবর। আইনজীবীদের মতে, জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় আদালত চাইলে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভার থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করতে পারে।

Calcutta High Court to Hear PIL on Electrocution Deaths After Heavy Rain in Kolkata

আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় চাইনিজ এলইডি বোর্ড ব্যবহার করা যাবে না, কড়া নিষেধাজ্ঞা পুলিশের

এই মামলার আসন্ন শুনানি ঘিরে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনিক মহলে। এখন আদালতের (Calcutta High Court) রায় আসার অপেক্ষা। তবে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহল, সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, ‘প্রতি বছর একই ছবি কেন? এই ঘটনার দায় কার?’ এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আদালতের রায়ের পরেই।