বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে বড় স্বস্তি পেলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা (Chandranath Sinha)। ইডির (ED) দাবি খারিজ করে কারামন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন বহাল রাখল আদালত। যদিও একাধিক শর্ত আরোপ করে জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত বলে খবর সূত্রের।
বিশেষ শর্তে চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত
আদালত যে শর্তে চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) জামিন মঞ্জুর করেছে, সেটা হল- কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখনই তাঁকে তলব করবে, মন্ত্রীকে তখনই হাজিরা দিতেই হবে। এর পাশাপাশি তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া তদন্তকারীদের জন্যও কিছু সীমারেখা টেনে দিয়েছে আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেরা যতই হোক না কেন, বিকেল ৫ টার মধ্যে তা শেষ করতে হবে। রাতভর জেরা করা যাবে না। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নির্দেশ ইডির জন্য বড় ধাক্কা।
উল্লেখ্য, শনিবারই আদালতে ইডি মন্ত্রী চন্দ্রনাথকে (Chandranath Sinha) ৭ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে রাখার আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ, আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তি এবং তদন্তে অসহযোগিতা, এই দু’টি কারণে প্রভাবশালী তত্ত্বে তাঁকে কাস্টডিতে প্রয়োজন। কিন্তু বিচারক সেই আর্জি খারিজ করে দেন।
প্রসঙ্গত, বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের জবানবন্দিতেই প্রথম উঠে আসে মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) নাম। তারপরই চন্দ্রনাথ সিনহার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে ইডি। সেখানে মেলে সন্দেহজনক লেনদেনের খোঁজ। সংস্থার দাবি, প্রায় ১৫৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা করে দিয়েছিলেন মন্ত্রী। অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ১২.৭২ কোটি টাকা। কিন্তু এত বিপুল অর্থ কোথায় গেল, তার উত্তর এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুনঃ অতিবৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু, দায় কার? ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে একাধিক মামলা
শনিবার আদালত চত্বরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী (Chandranath Sinha) বলেন, “আইনের প্রতি আমার বরাবর আস্থা ছিল, আগামী দিনেও থাকবে। আদালতের নির্দেশ মেনেই চলব।” তবে জামিন মনসুর হলেও এখনই পুরোপুরি জেল মুক্ত নয় চন্দ্রনাথ। আগামী দিনে ইডি বড় কোনও প্রমাণ দিতে পারলে মন্ত্রী কে আবার জেলবন্দী করা হতে পারে।