বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকাল সকলেই নিজের শরীর নিয়ে সচেতন থাকতে পছন্দ করেন। তার ওপর পুজো চলে আসলো। আর এই উৎসবের মরশুমে খাওয়া দাওয়া জমিয়ে হবে না তা ভাবা যায় না। কিন্তু যাদের কোলেস্টেরল আছে তাদের একটা চিন্তা সবসময় মাথায় ঘোরে যে, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া দাওয়া হলে পরে শরীরে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই যারা কোলেস্টেরলের রোগী রয়েছেন তারা যদি কিছু খাবার না খান, তাহলে শরীরে জটিলতা দেখা দেবে না। দেখে নিন এই উৎসবের মরশুমে কোন খাবার গুলোর কোলেস্টেরলের রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত (Health Tips)।
মজা নয়, বিপদ! কোলেস্টেরল রোগীরা পুজোয় ভুলেও খাবেন না এই ৪ পদ (Health Tips)
কোলেস্টেরল বাড়ছে মানে পছন্দের খাবার গুলোর থেকে শত হাত দূরে থাকা। কারণ, আপনার হাই কোলেস্টেরল থাকলে শরীরে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি হৃদরোগের সমস্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই কোলেস্টেরলকে বলে রাখতে এই উৎসবের আবহে একেবারেই ছুঁয়ে দেখবেন না এই খাবার গুলো (Health Tips)।
মিষ্টি: আপনি যদি হাইকোলেস্টেরলের রোগী হন, তাহলে উৎসবের আবহে মিষ্টিমুখ থেকে একটু দূরে থাকুন। কারণ উৎসবের আবহে মিষ্টিমুখ করতেই হবে। কিন্তু প্রতিদিন যদি রসগোল্লা, সন্দেশ, পায়েসের মতো মিষ্টি খান তাহলে এক ধাক্কায় আপনার কোলেস্টেরল ও সুগার লেভেল অনেকটাই বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ক্লান্তি নয়, এনার্জি! পুজোর ভিড়ে টানা হাঁটার শক্তি দেবে এই সুপারফুড গুলো
ভাজাভুজি: টুক করে এক টুকরো ফিসফ্রাই খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে না। কিন্তু আপনি যদি এই পুজোর পাঁচ দিন লাগামহীন ভাবে ভাজা বুজে খেতে থাকেন তাহলে বিপদ। ডুবো তেলে ভাজা যে কোন খাবারই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকার। আর যাদের বেশি কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।
অ্যালকোহল: পুজোর দিনে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ করতে গেলে মদ্যপান করা চলবে না। কারণ এতে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে কোলেস্টেরলের রোগীদের। তাই পূজার পাঁচটা দিন আনন্দ করতে গিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করে লিভারের বারোটা না বাজানোই ভালো।
রেড মিট: পুজোর দিনে একবেলা খাসির মাংস খাবেন না তা হয় না। তবে একদিন খেলে পরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ শরীরে ততটা বাড়ে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সীমিত পর্যায়ে খাচ্ছেন। তো এবার পুজো যদি খাসির মাংস খাওয়ার প্ল্যান থাকে তাহলে স্বল্প পরিমাণ খান। তবে শরীরের কথা যদি ভাবেন তাহলে রেডমিট এড়িয়ে চলাই ভালো (Health Tips)।