বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক দশক আগে কংগ্রেসের ‘ঘাঁটি’ হিসাবে পরিচিত ছিল মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর। কিন্তু এখন এই তিন জেলায় তৃণমূলের খুঁটি পোক্ত। সময়ের সঙ্গে কংগ্রেসের শক্তি কমেছে, আর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই অঞ্চলে তৃণমূলের একচেটিয়া আধিপত্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে এই তিন জেলাতেই বিশেষ নজর দিতে চাইছে অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
ঘটনাচক্রে, এই তিন জেলায় তিনটি অভিন্ন বিষয় দেখা যাচ্ছে। প্রথমত, ধর্মীয় মেরুকরণের আবহ তীব্র। দ্বিতীয়ত, শাসকদলের সংগঠনে অন্যান্য জেলার তুলনায় গোষ্ঠীকোন্দল বেশি। তৃতীয়ত, শূন্য থেকে খাতা খোলার লক্ষ্যে এই তিন জেলাকে বিরোধীরা বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছে। এই কারণেই তৃণমূল এই অঞ্চলের সংগঠনকে বিধানসভা ভোটের জন্য প্রস্তুত করতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
মুর্শিদাবাদ প্রশাসনিকভাবে একটি জেলা হলেও সাংগঠনিকভাবে মুর্শিদাবাদকে দু’টি জেলায় ভাগ করে দল পরিচালনা করে, একটি বহরমপুর এবং অন্যটি জঙ্গিপুর। শনিবার একসাথে ৯ টি জেলার রদবদল করা হয়, যার মধ্যে এই দুটি জেলাও রয়েছে।
ব্লক স্তরে কোর কমিটি এবং সভাপতি অনুপস্থিতি
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত ভরতপুরের ২ টি ব্লকে মূল দলের পাশাপাশি যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিদের নামও এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তালিকায় লেখা আছে, পরে ঘোষণা করা হবে। জঙ্গিপুরের সাগরদিঘি ব্লকে এককভাবে কাউকে সভাপতি করা হয়নি, বরং কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। লালগোলার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর পুলিশ, খোলা তার সরাতে উদ্যোগী লালবাজার
সাগরদিঘিতে ২০২৩ সালে উপনির্বাচনে তৃণমূল হেরে গিয়েছিল। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জিতেছিলেন। পরে বাইরন তৃণমূলে যোগ দেন। এই হারের পর সংগঠনে গোষ্ঠীকোন্দল উঠে এসেছে এবং এখনও অব্যাহত। তাই একক সভাপতিকে বাদ দিয়ে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাগরদিঘির আহ্বায়ক হয়েছেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। লালগোলার কোর কমিটির আহ্বায়ক রুমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক মহম্মদ আলির নাম কমিটিতে নেই, যদিও তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিধানসভা এলাকার সংগঠনের চেয়ারম্যান। তৃণমূল (Abhishek Banerjee) সূত্রে খবর, লালগোলায় গোষ্ঠীকোন্দল প্রবল থাকায় কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে।