জল নেমে যাওয়ার দাবি ফিরহাদের, ‘এমন মন্তব্যের আগে…’, তত্ত্ব খারিজ করে বিষ্ফোরক মেয়র পারিষদ

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে মঙ্গলবার কলকাতার পরিস্থিতি হয়েছিল ভয়াবহ। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র কার্যত চলে গিয়েছিল জলের তলায়। কোথাও হাঁটু সমান তো কোথাও কোমরের উপরে উঠে গিয়েছিল জল। এমনকি যেখানে কখনও জল জমে না, সেইসব এলাকাও চলে গিয়েছিল জলের তলায়। প্রথমে বিস্ময় প্রকাশ করলেও মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেছিলেন, মঙ্গলবার রাত দশটার মধ্যেই জল নেমে যাবে। এবার তাঁর মন্তব্যেরই উলটো পথে হাঁটলেন মেয়র পারিষদ তারক সিং।

ফিরহাদের (Firhad Hakim) দাবি খারিজ মেয়র পারিষদের

মঙ্গলবার রাতে আর বৃষ্টি না হওয়ায় শহরের বেশ কিছু জায়গা থেকে জল নেমে গেলেও কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া সহ দক্ষিণ কলকাতার অনেক জায়গাতেই বুধবারেও দেখা গিয়েছে জল যন্ত্রণা। অথচ এদিকে মঙ্গলবার জমা জলে ডুবে থাকা এলাকায় দাঁড়িয়েই মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) দাবি করেছিলেন, আর বৃষ্টি না হলে রাত দশটার মধ্যে সব জল বেরিয়ে যাবে।

Tarak singh dismissed mayor firhad hakim claim about water clogging

কী বললেন মেয়র পারিষদ: কিন্তু বুধবার সকালে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। এরপরেই মেয়র পারিষদ তারক সিং মন্তব্য করেন, এমন আশ্বস্তবাণী তিনি দেননি। তাঁর কথায়, কে কী বলছে তা তিনি বলবেন না। তবে এই ধরণের মন্তব্য করার আগে টেকনিক্যাল বিষয়গুলি জানতে হবে। রাত দশটার মধ্যে জল নেমে যাবে এমন আশ্বাস তিনিও দেননি। কারণ জল বেরিয়ে যাবে বললেই যায় না। বাস্তব দিকটা দেখতে হবে। সবকিছুর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। যেখানে খোদ মেয়র (Firhad Hakim) এমন আশ্বাস বাণী দিলেন, তার পরদিনই তাঁরই নিকাশি বিভাগের পারিষদের এমন মন্তব্যে কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন : ‘একবার গোত্রান্তর হয়ে গেলে…’, নিঃসন্তান হিন্দু বিধবা মহিলার মৃত্যুর পর সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বড় মন্তব্য শীর্ষ আদালতের

জল নেমে যাওয়ার দাবি মেয়রের: মঙ্গলবার মেয়র (Firhad Hakim) বলেন, কলকাতাতেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। কিন্তু এমন ‘অ্যাবনর্মাল’ বৃষ্টি কখনও দেখেননি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষমতা পুরসভার নেই বলেও মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এরপরেই তিনি বলেন, আর যদি বৃষ্টি না হয় তবে রাত দশটার মধ্যে জল নেমে যাবে শহর থেকে।

আরও পড়ুন : পুজোর মুখে বাজিমাত জি বাংলার, TRP তালিকায় পরপর চমক, কার দখলে রইল সেরার শিরোপা?

যদিও কার্যত বুধবার সকালেও শহরের একাধিক জায়গায় জমা জলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় স্থানীয়দের। বিশেষ করে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট আর দক্ষিণে বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়। যদিও মঙ্গলবারের পর থেকে পূর্বাভাস থাকলেও আর বৃষ্টি হয়নি শহরে। তবে পুজোর সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।