বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিহারে (Bihar) রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র বড়সড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বখতিয়ারপুর-রাজগীর-তিলাইয়ার সিঙ্গল রেল লাইন ডবল করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ দ্বিগুণ করতে ২১৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, ১৩৯ডব্লিউ নম্বর জাতীয় সড়কের সাহেবগঞ্জ-বেতিয়া সেকশনে ৭৯ কিলোমিটার রাস্তা চার লেন করার জন্য ৩৮২২ কোটি টাকা খরচ হবে।
ভোটের আগেই বড় উপহার বিহারকে (Bihar)
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বখতিয়ারপুর-রাজগীর-তিলাইয়ার রেল লাইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দীর্ঘদিন ধরেই এই লাইন ডবল করার দাবি ওঠে আসছিল। রাজগীর, নালন্দা, পাওয়াপুরি এবং বিহার শরিফের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে ছুঁয়ে যাওয়ায় এই লাইনটি শুধুমাত্র যাত্রী পরিবহন নয়, পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে এই সিঙ্গল লাইনে ট্রেনের চাপ অত্যধিক। ফলে যাত্রীদের সময় নষ্ট হওয়া ছাড়াও পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছে (Bihar)।
আরও পড়ুন:জল আর রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না’ মোদী সরকারের সিন্ধু পরিকল্পনা কি চাপে ফেলবে পাকিস্তানকে
ডবল লাইন তৈরি হলে শুধু যাত্রী পরিবহন নয়, সিমেন্ট, কয়লা, সার-সহ নানা প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুত পরিবহণ সম্ভব হবে। পাশাপাশি পাটনার সঙ্গে রাজগীর, নালন্দা ও বিহার শরিফের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতেও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে (Bihar)।
অন্যদিকে, সড়ক প্রকল্পও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাহেবগঞ্জ-বেতিয়া সেকশনের ৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা চার লেনে পরিণত হলে উত্তর বিহারের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ আরও দ্রুত হবে। বৈশালী, সারন, সিওয়ান, গোপালগঞ্জ, মুজফ্ফরপুর, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ-সহ একাধিক জেলায় যাতায়াতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে (Bihar)।
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা ইউনূস সরকারকে, বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করল UAE! নেপথ্যে কী কারণ?
পাটনা থেকে বেতিয়া পর্যন্ত এই নতুন করিডর ভারতমালা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এবং একে NH-139W বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিতে নির্মিত এই রাস্তা এমন ভাবে তৈরি হবে যেখানে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি চলতে পারবে। বাস্তবে গাড়ি চলার গড় গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে (Bihar)।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেল ও সড়ক উভয় ক্ষেত্রেই এই প্রকল্প কার্যকর হলে বিহারের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে। যাত্রী পরিবহন দ্রুত ও নিরাপদ হবে, একই সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রে পণ্য পরিবহণও সহজতর হবে। ফলে বিহারের অর্থনীতি ও উন্নয়নে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে বলেই মনে করছেন অনেকে (Bihar)।