বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর মুখে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়লেন রাজন্যা হালদাররা (Rajanya Haldar)। বৃহস্পতিবার তাঁর সোনারপুরের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেল মোটা অঙ্কের টাকা ও একাধিক নামি-দামী বিদেশি জিনিসপত্র। পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে যে দৃশ্য দেখেন, তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ জামাকাপড় কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরন রাজন্যা হালদারের (Rajanya Haldar) পরিবার। রাতভর বৃষ্টির কারণে তাঁদের ফেরার সময় দেরি হয়। প্রায় রাত বারোটার সময় বাড়ি ফিরে তালা খোলার চেষ্টা করতেই দেখা যায়, সমস্ত দরজা ভিতর থেকে আটকানো। স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ হয় পরিবারের।
দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই চমকে ওঠেন রাজন্যা হালদারের (Rajanya Haldar) পরিবার। দেখা যায়, পিছনের দিকের বেডরুমের জানালার গ্রিল ও পাল্লা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, নীচের ও উপরের তলার একাধিক আলমারি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখান থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছে নগদ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা, একটি বায়নাকুলার এবং বিদেশ থেকে আনা দামী জিনিসপত্র।
চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন রাজন্যা (Rajanya Haldar)
ঘটনার পর কার্যত ক্ষুব্ধ রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)। তাঁর বক্তব্য, “এত বছরে এমন কিছু হয়নি। এটাকে সাধারণ চুরি বলা যায় না, বরং ডাকাতির চেষ্টা বলা যায়। এই ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে।” তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘স্থগিতাদেশ সম্ভব নয়’, মহুয়ার আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট, স্বস্তিতে নিশিকান্ত দুবে
রাজন্যার (Rajanya Haldar) মা বলেন, “আমি পাঁচটার সময় বেরিয়েছি। ঢুকেছি রাত বারোটায়। এসে দরজা খুলতে পারছিলাম না। শেষে রাজন্যার বাবা দরজা ভেঙে ঢোকেন। তারপর বুঝতে বাকি থাকেনি, বাড়িতে বড়সড় চুরি হয়েছে।” ঘটনায় ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।