“দায়িত্বশীল হোন”, কল্যাণী মেডিক্যালের র‍্যাগিং বিতর্কে চূড়ান্ত রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট

Published on:

Published on:

Calcutta High Court Allows Kalyani Medical College Students to Re-enter Hostels

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের ২৮ জন পড়ুয়ার জন্য বড় স্বস্তি। গত বছর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের হস্টেলে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সেই সমস্যা শেষ হলো। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রায় দিয়েছেন, পড়ুয়ারা হস্টেলে থাকতে পারবেন। তবে রায় সতর্কবার্তাও দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেছেন, “আপনারা ভবিষ্যতে চিকিৎসক হবেন। আপনার আচরণ ভালো হওয়া উচিত। কলেজের পরিবেশ যেন খারাপ না হয়।”

র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই পড়ুয়াদের

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ার সাথে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সময় জেএনএম কলেজের কিছু ছাত্রছাত্রীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে হস্টেল থেকে ৬ মাসের জন্য বের করে দেওয়া হয়। পড়ুয়ারা পরে আদালতে আবেদন করলে হাই কোর্ট (Calcutta High Court) তাদের পরীক্ষায় বসতে দেয়, কিন্তু হস্টেলে ঢোকার অনুমতি দেয় নি।

পড়ুয়ারা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) বলেন, “অ্যান্টি-র‍্যাগিং কমিটি সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৬ মাসের জন্য হস্টেল নিষিদ্ধ করতে পারে। কিন্তু আমাদের অনেক সময় হস্টেলের বাইরে রাখা হয়েছে, কোনো শুনানি ছাড়াই।” এই প্রসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন, “তাদের হস্টেলে ফেরালে ক্যাম্পাসের পরিবেশ খারাপ হতে পারে।”

এই প্রসঙ্গে হাই কোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের শাস্তির সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, যাদের নাম মামলায় আছে, ১ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের সবাইকে হস্টেলে ঢোকার অনুমতি দিতে হবে।

Calcutta High Court Allows Kalyani Medical College Students to Re-enter Hostels

আরও পড়ুনঃ অ্যাপের হাত ধরে এবার পুজো দেখা সহজ, বর্ধমান পুলিশের নতুন উদ্যোগ ‘সবার পুজো’, জানুন বিস্তারিত…

শুনানির সময় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কিছু রাজনৈতিক কারণে ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল থেকে বের করা হয়েছে। আরজি করের ঘটনার সুযোগ নিয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কিছু মানুষ।” সব মিলিয়ে, আদালতের (Calcutta High Court) রায় শুধু হস্টেলে ঢোকার সুযোগ দেয়নি, ভবিষ্যতের চিকিৎসক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তাও দিয়েছে।