বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে জেলায় জেলায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার কাজে ইতিমধ্যেই মনোনিবেশ করেছেন তৃণমূল (Trinamool Congress)। সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় একাধিক নতুন মুখের উত্থান ঘটেছে, তবে নন্দীগ্রামে আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। শুভেন্দু গড় হিসেবে পরিচিত এলাকায় আলাদা নজরদারি রাখতে চাইছে শাসকদল। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের ব্লক কমিটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠকের পর গঠিত হবে।
নন্দীগ্রামে সিদ্ধান্ত স্থগিত তৃণমূলের (Trinamool Congress)
তমলুক সাংগঠনিক জেলায় মোট ১৬টি ব্লক কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে কেবল মহিষাদল বাদ দিয়ে প্রায় সব কমিটিতে এসেছে নতুন নেতৃত্ব। নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লক কমিটি নিয়ে কোনও ঘোষণা করেনি তৃণমূল (Trinamool Congress)। বরং সেখানে ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটিকে অগ্রাহ্য করে কোনও পদক্ষেপে ঝুঁকতে নারাজ দল। তাই আপাতত সবকিছু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
উল্লেখ্য, কাঁথি সাংগঠনিক জেলাতেও একই ছবি ধরা পড়েছে। বেশ কয়েকটি ব্লকে সভাপতি ও সহ-সভাপতির পদে নতুন নাম ঘোষণা হলেও কাঁথি টাউন ও কন্টাই ব্লক কমিটি এ বছর বাদ রাখা হয়েছে। দলের তরফে বলা হয়েছে, কিছু এলাকায় স্থানীয় সমীকরণ খতিয়ে দেখেই নতুন পদাধিকারীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।
ব্যতিক্রমী মহিষাদল
প্রসঙ্গত, সব রদবদলের মধ্যেও ব্যতিক্রমী মহিষাদল। সেখানে আগের সভাপতিকেই রাখা হয়েছে। সুদর্শন মাইতির নেতৃত্বে সংগঠনের পুরনো কাঠামো প্রায় অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। শুধু কয়েকটি পদে আংশিক পরিবর্তন করা হয়েছে।
দলের সিদ্ধান্তে ৬ ব্লকে সভাপতি বদল
কাঁথি জেলায় ৬টি ব্লকে সভাপতি বদল হয়েছে। চণ্ডীপুর, কাঁথি দেশপ্রাণ, ভগবানপুর-২, খেজরি-১, এগরা-২ ও রামনগর-২ ব্লকে নতুন সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি মহিলা, যুব ও শ্রমিক সংগঠনেও নতুন সভাপতিরা জায়গা পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর পর শুরু ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া, প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী
সব মিলিয়ে, বিধানসভা ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসল নজর থাকবে নন্দীগ্রামে। সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ধারণ করবে যে সেখানে দলীয় সংগঠন কতটা শক্তিশালী করা যাবে।