চিন-পাকিস্তান সীমান্তের দায়িত্ব নেবে “অনন্ত শাস্ত্র”, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য ৩০,০০০ কোটির টেন্ডার

Published on:

Published on:

Anant Shastra to be deployed on China-Pakistan border.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বর্তমান সময়ে সামরিক দিক থেকে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ভারত। ঠিক এই আবহেই এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী তার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে বিমান হামলার হুমকি মোকাবিলায় “অনন্ত শাস্ত্র” (Anant Shastra) সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমের ৫ থেকে ৬ টি রেজিমেন্ট কেনার জন্য একটি টেন্ডার জারি করা হয়েছে। এই সিস্টেমটি DRDO দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

ভারতীয় সেনবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে “অনন্ত শাস্ত্র” (Anant Shastra):

জানিয়ে রাখি যে, এর আগে এটিকে (Anant Shastra) কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (QRSAM) বলা হত। এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা। সেনা আধিকারিকরা ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন যে, অপারেশন সিঁদুরের সময়ে পাকিস্তানি ড্রোন হামলা প্রতিরোধে এই সিস্টেমটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

Anant Shastra to be deployed on China-Pakistan border.

অপারেশন সিঁদুর; এয়ার ডিফেন্সের একটি পরীক্ষা: জানিয়ে রাখি যে, ২০২৫ সালের মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের পরপরই ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (DAC) এই দেশীয় ব্যবস্থা কেনার অনুমোদন দেয়। অপারেশন সিঁদুরের আবহে ৪ দিনের সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান চিনা অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি L-70 এবং Zu-23 কামান দিয়ে বেশিরভাগ ড্রোন ধ্বংস করে। সেই সময়ে ভারতের আকাশ এবং MR-SAM সিস্টেমগুলিও প্রশংসনীয়ভাবে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্পাইডার এবং সুদর্শন এস-৪০০ সিস্টেম আকাশপথে হুমকি প্রতিহত করার জন্য একত্র হয়েছিল। সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স উইং ইতিমধ্যেই MR-SAM, আকাশ এবং আরও ছোট সিস্টেম পরিচালনা করে। যেগুলি বিমান বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালের আগে টিম ইন্ডিয়ার চিন্তা বাড়াচ্ছে চোট! প্লেয়িং ইলেভেনে হতে পারে ২ টি পরিবর্তন

“অনন্ত শাস্ত্র” সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য: এই সিস্টেমটি (Anant Shastra) অত্যন্ত দ্রুত এবং গবহনযোগ্য। এটি চলমান লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত এবং ট্র্যাক করতে পারে। এই সিস্টেম ছোট ছোট বাধার সম্মুখীন হলেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার MR-SAM এবং আকাশের মতো বিদ্যমান সিস্টেমগুলির পরিপূরক হবে। এ সিস্টেমের পরীক্ষার সময়ে দিন ও রাতের পরিস্থিতিতে এটির ক্ষমতা নিরীক্ষণ করা হয়েছে। যেটি ছোট ড্রোন থেকে শুরু করে বড় বিমান পর্যন্ত সবকিছুকে টার্গেট করতে পারে। পাশাপাশি, এগুলি ভারতের পশ্চিম (পাকিস্তান) এবং উত্তর (চিন) সীমান্তে মোতায়েন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: গৌতম আদানির মাস্টারস্ট্রোক! ডুবে যাওয়া সাহারার সম্পত্তি কিনতে প্রস্তুত ধনকুবের

সেনাবাহিনীতে স্বদেশী জোয়ার: ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী দেশীয় অস্ত্রের প্রচার করেছেন। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে নতুন রাডার, স্বল্প-পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, জ্যামার এবং লেজার-বেসড সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এগুলি পাকিস্তানের কাছে থাকা তুরস্ক এবং চিনা ড্রোনের মোকাবিলা করবে। ভবিষ্যতে, জোরোয়ার লাইট ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর এহেন পদক্ষেপ ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আত্মনির্ভর করে তুলবে।