বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পড়শি দেশ চিনের (China) অর্থনীতি যথেষ্ট নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। যদিও, ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির আবহেই প্রতিরক্ষা খাতে (Defence Secror) বরাদ্দ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে বেজিং (Beijing)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) প্রশাসন নিজেদের প্রতিরক্ষা বাজেট গত মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে। যেখান থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে গতবারের তুলনায় এইবারে চিনের প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.২ শতাংশ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সামগ্রিকভাবে প্রতিরক্ষা খাতকে অত্যাধুনিক বানানোর লক্ষ্যে চিন ৭.২ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।
জানা গিয়েছে, এই অর্থবর্ষের জন্য চিন প্রতিরক্ষা খাতে মোট ২৩০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। শুধু তাই নয়, চিনের এই বরাদ্দের পরিমাণ ভারতের থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি। উল্লেখ্য যে, প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের বাজেট বরাদ্দ হল মাত্র ৭৫ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে অধিকাংশ খরচ হয় সেনাকর্মীদের বেতন এবং প্রাক্তনদের পেনশন দিতে। এমন পরিস্থিতিতে, সামরিক খাতে চিনের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি ভারতের কাছেও চিন্তা বাড়াতে পারে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, প্রতিরক্ষা খাতে গত কয়েক বছর ধরেই এই পড়শি দেশ নিজেদের বরাদ্দ বাজেট থেকে অনেকটাই বেশি অর্থব্যয় করে আসছে। এমতাবস্থায়, চলতি বছরেও এটি ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিন। এক্ষেত্রে বেজিং মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুকে হাতিয়ার করছে।
আরও পড়ুন: ১০০ কোটির চাকরি হারিয়েও পড়েননি ভেঙে! ফের শুরু করেছেন নতুন কোম্পানি, অবাক করবে পরাগের কাহিনি
অপরদিকে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত এবং চিনের মধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে রয়েছে। এমনকি, গালওয়ানের সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন জওয়ান শহিদও হয়েছিলেন। তারপরেও অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখে একাধিকবার ভারতীয় সেনা এবং চিনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শামি থেকে শুরু করে চাহাল! T20 বিশ্বকাপে “চান্স” পাবেন না ভারতের এই ৬ তারকা, দেখুন তালিকা
এমতাবস্থায়, বারংবার বৈঠক সম্পন্ন হলেও এখনও এই বিষয়ে কোনো সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে পশ্চিম সেক্টরের লাদাখ এবং মধ্য সেক্টরের উত্তরাখণ্ড, হিমাচল সীমান্তে ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। শুধু তাই নয়, সিকিম থেকে অরুণাচল পর্যন্ত পূর্ব সেক্টরের সীমান্তে মোতায়েন থাকা চিনা সেনার সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী বায়ু সেনাঘাঁটিতেও বিগত মাসগুলিতে অতিরিক্ত বিমান মোতায়ন করা হয়েছে এবং সেগুলিকে ঢেলে সাজানোও হয়েছে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান দখলের প্রসঙ্গেও ক্রমশ হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে চিন।