বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) আনন্দের মাঝে হরিশ্চন্দ্রপুরে আচমকাই নেমে এল অশান্তির ছায়া। পঞ্চমীর গভীর রাতে ভাঙচুর চালানো হল স্থানীয় পিপলার অঙ্কুর সংঘের পুজো মণ্ডপে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মণ্ডপে ঢুকে সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়, ছিঁড়ে ফেলে অনুষ্ঠান মঞ্চের কাপড় ও ফ্লেক্স। ষষ্ঠীর সকালে খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।
দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2025) রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন ক্লাবের সম্পাদক
অঙ্কুর সংঘের সম্পাদক দ্রোণাচার্য ভট্টাচার্য স্থানীয় তৃণমূল নেতা (TMC Leader) এবং রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের ঘনিষ্ঠ। এই ঘটনায় তিনি সরাসরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, বিরোধী রাজনৈতিক দলের মদতেই পরিকল্পনা করে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
এদিকে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিষেক সিংহানিয়া এই ঘটনায় বিরোধীদের ভূমিকা থাকার অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এটা বিরোধীদের চক্রান্ত নয়, বরং তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। মন্ত্রী এবং জেলা পরিষদের এক নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে। সেই পুরনো দ্বন্দ্বই মণ্ডপ ভাঙচুরে রূপ নিয়েছে।”
পুজো (Durga Puja 2025) মণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়েই রবিবার রাত থেকে তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন জানান, “বিরোধীদের চক্রান্তের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।”
আরও পড়ুনঃ পুজোর মাঝে ফের ডেঙ্গির হানা, সাত দিনে আক্রান্ত ৭৭ জন, চিন্তায় কলকাতা পুরসভা
পুজোর (Durga Puja 2025) আবহে এমন ঘটনা ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ষষ্ঠীর সকালে মণ্ডপ ভাঙচুরের খবরে স্থানীয়রা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, উৎসবের আনন্দে রাজনীতির ছায়া পড়া একেবারেই অশোভন। রাজনৈতিক তরজার কারণে দুর্গোৎসবের আনন্দ ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।