বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গোৎসবের আনন্দের মাঝেও রাজ্যে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা। আর সেই দিকে নজর রাখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে প্রতিদিনই মুখ্যসচিব ও শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তিনি। সূত্রের খবর, নবান্নে উপস্থিত না থেকেও নিজের বাসভবন থেকেই পুরো পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। গত ৩৯ বছরে এরকম জল নাকি দেখেনি কলকাতা। সম্প্রতি আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে যে, নবমীর রাত থেকে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। পুজোর মধ্যেই নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর। আর এই নিম্নচাপের দশমী ও একাদশীতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকার আশঙ্কায় ১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলা ও ওড়িশার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপুজোর জন্য কন্ট্রোলরুম চালু রাখা হয়েছে। কালীপুজো (২০-২৪ অক্টোবর) এবং ছটপুজো (২৭-২৮ অক্টোবর) সময়ও একইভাবে কন্ট্রোলরুম সচল থাকবে। সচিব পদমর্যাদার একজন আধিকারিক সর্বদা উপস্থিত থাকবেন। মনিটরিং টিমের আধিকারিকরা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবেন দু’টি শিফটে ভাগ হয়ে। যে কোনও পরিস্থিতি সামলাতেই এই মনিটরিং সিস্টেমকে সক্রিয় রাখা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনের দাবি
মঙ্গলবারের ভারী বৃষ্টির পর কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলে ডুবে গেলেও পুরসভা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তৎপরতায় অধিকাংশ জায়গায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “প্রশাসনকে সবসময় কাঠগড়ায় তোলা হয়। কিন্তু আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। সেই প্রস্তুতির জোরেই দ্রুত সাফল্য এসেছে। তবে তার মানে আত্মতুষ্ট হওয়া নয়। উৎসবের মরশুম নির্বিঘ্নে কাটাতে আমরা ছটপুজো পর্যন্ত সমানভাবে সতর্ক থাকব।”
আরও পড়ুনঃ স্বস্তি নাকি বৃষ্টি? সপ্তমীর সন্ধ্যায় কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া? আগাম আপডেট জানুন
কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
এমন সময়ে যখন নবান্নের অধিকাংশ দপ্তরে ছুটির আমেজ, তখন কন্ট্রোলরুমে পূর্ণ কর্মতৎপরতা চলছে। আর সেই তৎপরতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee। প্রতিদিন নিজের বাসভবন থেকেই জেলার পরিস্থিতির খোঁজ নিচ্ছেন এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।