বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাওড়ার ডিআরএম অফিসে (Howrah DRM office) চাকরি দেওয়ার নামে চলছিল অবৈধ লেনদেনের চক্র। রেল পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হতো। শুধু তাই নয়, অফিসে রাখা হয়েছিল ভুয়ো নিয়োগপত্র, নকল হাজিরা খাতা, জাল মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং বিভিন্ন রেলের আধিকারিকের নকল স্ট্যাম্প।
সেলস ব্যবসায়ে ব্যর্থ হয়ে চাকরি (Howrah DRM office) দেওয়ার নামে প্রতারণা শুরু করেন অভিযুক্ত তীর্থঙ্কর
তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত তীর্থঙ্কর মিত্রকে জেরা করেই এই তথ্য সামনে এসেছে। তীর্থঙ্করের মা ছিলেন রেলের কর্মাশিয়াল বিভাগের কর্মকর্তা। তার পরিচিতির জোরেই তীর্থঙ্কর নিয়মিত অফিসে যাতায়াত শুরু করেন এবং রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া, পোস্টিং, গ্রুপ ডি সহ বিভিন্ন পদের নিয়োগপত্র কারা জারি করে এসব বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পান। পুলিশ অনুমান করছে, সেলস ব্যবসায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা শুরু করেন।
এক শিক্ষকের মাধ্যমে তীর্থঙ্কর চাকরীর পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলেন। সূত্রের দাবি, সেখানে আসা প্রার্থীদের মধ্যে কিছু জনকে টার্গেট করা হতো এবং নিশ্চিত চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হতো। চাইলে প্রার্থীকে ১০–১২ লক্ষ টাকা খরচ করতে হতো।
তদন্তে আরও জানা গেছে, গত জুন মাসে হাওড়ার ডিআরএম অফিসে (Howrah DRM office) প্রার্থীরা হাজির হলে তীর্থঙ্কর তাদের বায়োডেটা, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও মেডিকেল টেস্ট করাতেন। তারপর নিজে দাঁড়িয়ে হাজিরা খাতায় সই করাতেন। আরপিএফের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তীর্থঙ্করের সঙ্গে একাধিক রেল অফিসারের পরিচয় থাকায় তিনি সহজেই অফিসে প্রবেশ করতেন। ক্যামেরা ফুটেজে ধরা পড়েছে, অফিসে বসেই প্রতারণার সব কাজ চালাতেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রতারণা থেকে হেনস্তা, বছরে ৩০ শতাংশ বেড়েছে সাইবার অপরাধ, NCRB রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এখন পর্যন্ত তীর্থঙ্করের কাছ থেকে ১০টির বেশি ভুয়ো নিয়োগপত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে তদন্তকারীরা আশঙ্কা করছেন, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রেল পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এবং খতিয়ে দেখছে এই চক্রে কোনও অফিসার জড়িত কি না। হাওড়ার (Howrah DRM office) এই প্রতারণার ঘটনা সামনে আসতেই সাধারণ মানুষ ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।