বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতি বছরই দুর্গাপুজো উপলক্ষে ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি করা হয় ভারতে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। দুর্গাপুজো উপলক্ষে এবার ১২ লক্ষ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানি করা যাবে ইলিশ। এর মধ্যে গত সোমবার পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার কেজি ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি হয়েছে এপার বাংলায়। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই ইলিশ রপ্তানি করেই প্রায় ২০ কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
কতগুলি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানির অনুমতি?
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে এবার ৩৭ টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানির জন্য। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬ টি প্রতিষ্ঠানই রপ্তানি করতে পেরেছে ইলিশ (Hilsa Fish)। বাকি ২১ টি প্রতিষ্ঠান সোমবার পর্যন্ত কোনও মাছ রপ্তানি করে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানির সুযোগ বেশি নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
কত পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে: বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি শুরু হয় ভারতে। সে বছর ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করে ৩৩ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। তবে গত ৭ বছরে সবথেকে বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। সে বছর ১৭ লক্ষ কেজি ইলিশ (Hilsa Fish) রপ্তানি করে প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। সেই তুলনায় এ বছর এত কম রপ্তানি হল কেন?
আরও পড়ুন : রাত জেগে আরাধনাতেই তুষ্ট হন দেবী, এবছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর শুভ সময়টা জানেন?
কম ইলিশ রপ্তানির কারণ কী: রপ্তানির অনুমতি পাওয়া এক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, যত পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন মিলেছিল, তার মধ্যে বেশিরভাগই রপ্তানি করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় বাজারে ইলিশের (Hilsa Fish) দাম না কমার কারণেই মাত্র দেড় হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই প্রতিষ্ঠানের আরও দাবি, যেহেতু বাংলাদেশের তুলনায় মায়ানমারের ইলিশের রপ্তানি মূল্য কম, তাই মায়ানমারের ইলিশের (Hilsa Fish) চাহিদাই নাকি বেশি এপার বাংলার বাজারে।
আরও পড়ুন : জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁতার কাটতে! জুবিনের মৃত্যুতে বিষ্ফোরক স্ত্রী, কার দিকে তুললেন আঙুল?
এ বছর বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৫৩২ টাকা দর বেঁধে দিয়েছে নূন্যতম রপ্তানিমূল্য। এর থেকে কমে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে রিপোর্ট বলছে, প্রতিবার যতটা পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয় তার তুলনায় বাস্তবে অনেক কম ইলিশ রপ্তানি হয়। এ বছরও স্থানীয় বাজারে দাম বেশি থাকায় রপ্তানি কম হয়েছে ইলিশের।