বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশজুড়ে মহাসমারোহে সম্পন্ন হচ্ছে মহাশিবরাত্রির (Maha Shivaratri) পবিত্র উৎসব। এমতাবস্থায়, বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম একটি শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধামে মঙ্গল আরতি হওয়ার পর থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত কাশী বিশ্বনাথের জলাভিষেক করছেন। মন্দির প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৩,৮৮,০০৬ জন মহাদেবের দর্শন করেছেন। অন্যদিকে, মহাশিবরাত্রিতে জ্ঞানবাপীর ব্যাস তয়খানা তথা বেসমেন্টেও দর্শনের জন্য ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। এদিকে এই ভক্তদের মধ্যে, আজ জ্ঞানবাপী শৃঙ্গার গৌরী মামলার সমস্ত মামলাকারী থেকে শুরু করে আইনজীবী এবং সমর্থকরাও মন্দিরে দর্শন ও পুজোর জন্য পৌঁছে যান।
জ্ঞানবাপীতে চলছে দর্শন: জানিয়ে রাখি, তিন দশক পর শিব ভক্তদের জন্য এমন সুযোগ এসেছে যখন ভক্তরা ব্যাস জি তয়খানা অর্থাৎ বেসমেন্টে শিবের বিগ্রহে পুজো দেখতে পাচ্ছেন। প্রস্থানের পথে জ্ঞানবাপী গেটের যে বেসমেন্ট রয়েছে সেখানেও ভক্তরা দর্শন করছেন। মন্দির দর্শনের পরে, জ্ঞানবাপী মামলার সাথে যুক্ত মহিলারা সেখানে থাকা আদিবিশ্বেশ্বরের মুক্তির জন্য বাবা বিশ্বনাথের কাছে প্রার্থনা করেন এবং ব্যাসজির বেসমেন্টে পরিক্রমাও করেন।
সকাল ৯ টা নাগাদ ৩ লক্ষেরও বেশি ভক্ত জলাভিষেক করেন: উল্লেখ্য যে, মহাশিবরাত্রিতে বাবা বিশ্বনাথের মঙ্গল আরতির পর ভক্তদের জন্য দরজা খুলে গেছে। এখন প্রায় ৪১ ঘণ্টা একটানা দেখা যাবে বিশ্বনাথকে। ভক্তদের সুবিধার্থে মন্দির প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ টি প্রবেশদ্বার করা হয়েছে। যে ভক্ত যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন তাঁকে সেই দরজা দিয়ে বের করা হচ্ছে। এবার বারাণসীর মহাশিবরাত্রি বিশেষ হয়ে উঠেছে, কারণ যে ভক্তরা বাবা বিশ্বনাথের দর্শন করছেন, তাঁরা প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে, জ্ঞানবাপী ব্যাস বেসমেন্টে উপস্থিত মূর্তিগুলিকেও দর্শন করছেন। মন্দির প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩,৮৮,০০৬ জন ভক্ত মহাদেবের জলাভিষেক করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা খাতে হবে ইতিহাস! আধুনিক ফাইটার জেটের বিশাল কোম্পানি তৈরির পথ প্রশস্ত কেন্দ্রের
শৃঙ্গার গৌরী মামলার মহিলা মামলাকারীরা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মন্দিরে পৌঁছেছেন: মহাশিবরাত্রির উৎসবে, জ্ঞানবাপী মামলার সাথে জড়িত সমর্থকরা, যাঁদের মধ্যে মহিলা এবং জ্ঞানবাপীর শৃঙ্গার গৌরী মামলার উকিলরাও ছিলেন তাঁরা বাবা বিশ্বনাথ এবং ব্যাস বেসমেন্টের দর্শনের জন্য কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মন্দিরে পৌঁছেছিলেন। তাঁরা জানান, “আজ সকালে মহাশিবরাত্রিতে আমরা সবাই বাবা বিশ্বনাথকে দেখতে এসেছি। আজকে আসার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের যে মামলায় আমরা আদিবিশ্বেশ্বর ও শৃঙ্গার গৌরীর মুক্তির জন্য আদালতে লড়ছি তাতে যেন বাবা বিশ্বনাথ আমাদের জয়ী করেন।”
আরও পড়ুন: ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির ম্যাজিক! ২০৩১-এর মধ্যেই “উচ্চ-মধ্যবিত্তের দেশ” হিসেবে বিবেচিত হবে ভারত
বেসমেন্টটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে: এদিকে, আজ জুম্মাবার হওয়ার কারণে, ওই মহিলারা মুসলিম পক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন যে বেসমেন্টটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং এটি মেরামতের জন্য আদালতের আদেশের অপেক্ষা করা হচ্ছে। তাই মুসলমানদের আজ জ্ঞানবাপীতে নামাজ পড়ার জন্য সীমিত সংখ্যায় আসা উচিত, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। উল্লেখ্য যে, আদালতের নির্দেশে ব্যাস বেসমেন্টে একজন পুরোহিতকে নিয়োগ করা হয়েছে এবং প্রচুর ভিড়ের কারণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পাথরের একটি বড় অংশ সেখানে পড়ে গিয়েছিল।