বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর মরসুমে কেন রাজ্য সরকারকে না-জানিয়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC) জল ছেড়েছে, শুক্রবার সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সংস্থা ‘ইচ্ছাকৃত এবং একতরফা ভাবে’ জল ছেড়ে বাংলাকে বিসর্জন দেওয়ার চক্রান্ত করছে।
ডিভিসির (DVC) জল ছাড়ার পরিসংখ্যান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী
শনিবার কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাতিল এই অভিযোগ খারিজ করেছেন। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মমতা শুক্রবার রাতে জানিয়েছিলেন, ডিভিসি (DVC) কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছেন।
কেন্দ্রের মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, প্রকৃত জল ছাড়ার পরিমাণ তার অর্ধেকেরও কম।” ডিভিসি (DVC) রেগুলেশন কমিটি থেকে প্রাপ্ত ‘তথ্য’ অনুযায়ী, মাইথন জলাধার থেকে ৪২৫০০ কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ২৭৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, মোট ৭০০০০ কিউসেক। সিআর পাতিল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “এটি ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক নয়, যেমনটি মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন।”
ফ্রাইডে দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী একটি পোস্টে লিখেছিলেন, “বিজয়া দশমী দুর্গাপুজোর সমাপ্তি। আনন্দ, উল্লাস এবং নতুন আশার সময়। তবুও পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে শান্তিতে উৎসব শেষ করতে দেওয়ার বদলে, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ রাজ্যকে কোনও আগাম বার্তা না দিয়ে ৬৫০০০ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে।”
রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে আচমকা জল ছাড়ার অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনও সাফাই দেওয়া হয়নি। তবে ডিভিসির জলছাড়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা আবার জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ৭৫ হাজারের বেশি চাকরির সম্ভাবনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে নতুন প্রকল্প শুরু রাজ্যে
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। সেই জল দামোদর নদে মিশছে, ফলে দুর্গাপুরে রাজ্য সেচ দপ্তরের জলাধারেরও ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডিভিসি (DVC) কর্তৃপক্ষ বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলি জেলায় দামোদর তীরবর্তী এলাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।