বাংলা হান্ট ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) শান্তি পরিকল্পনা তথা “পিস প্ল্যান” ঘোষণার পর, গাজায় শান্তি প্রচেষ্টায় ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন যাঁরা বন্দি রয়েছেন তাঁদের মুক্তি পাওয়ার লক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, “গাজায় শান্তি প্রচেষ্টা নিষ্পত্তিমূলক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলেছে। আমি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাই।”
ট্রাম্পের (Donald Trump) পরিকল্পনাকে সমর্থন করলেন মোদী:
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “X”-এ শেয়ার করা একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, “বন্দি থাকা মানুষদের মুক্তির লক্ষণগুলি একটি বড় পদক্ষেপ। ভারত একটি স্থায়ী এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য সকল প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যাবে।” এদিকে, ট্রাম্পের এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন আরও একাধিক বিশ্বনেতা।
We welcome President Trump’s leadership as peace efforts in Gaza make decisive progress. Indications of the release of hostages mark a significant step forward.
India will continue to strongly support all efforts towards a durable and just peace.@realDonaldTrump @POTUS
— Narendra Modi (@narendramodi) October 4, 2025
অস্ট্রেলিয়াও সমর্থন জানিয়েছে: ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে স্বাগত জানায়।” হামাসকে অবিলম্বে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে এবং প্রত্যেক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়া তার অংশীদারদের সঙ্গে সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং একটি ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান অর্জনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।”
— Anthony Albanese (@AlboMP) October 3, 2025
ট্রাম্পের “পিস প্ল্যান”: জানিয়ে রাখি যে, গত শুক্রবার, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে “হামাস স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত।” প্রথমবারের মতো, তিনি প্রকাশ্যে ইজরায়েলকে গাজায় তাদের আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। হামাস পরিকল্পনার কিছু অংশকে স্বাগত জানিয়েছে, কিন্তু কিছু বিধানের ওপর দ্বিমত প্রকাশ করে অতিরিক্ত আলোচনার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে যে তারা বাকি ৪৮ জন বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। পরিকল্পনা অনুসারে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে, ২,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দি এবং গাজার নিহত নাগরিকদের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি গাজা থেকে ইজরায়েলের প্রথম পর্যায়ের প্রত্যাহারও করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের ট্রফি “চুরি” করার পুরস্কার? মহসিন নকভিকে গোল্ডে মেডেল দিচ্ছে পাকিস্তান
কী জানিয়েছে ইজরায়েল: এদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও এই পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। শনিবার রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত। যার মধ্যে রয়েছে সমস্ত বন্দিদের মুক্তি।”