বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুজো। ইতিমধ্যে এই পূজোর ব্যস্ততায় ব্যস্ত সকলেই। বাঙালির ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মী পুজিত হয় নিষ্ঠা সহকারে। তার আরাধনায় কোন খামটি রাখতে চান না কেউ। তাই আগের থেকেই সব কিছুর আয়োজন করে রাখেন। এছাড়াও লক্ষ্মীপুজোর ভোগে নারকেল নাড়ুর পাশাপাশি তিলের নাড়ু অনেকেই দেয়। তবে নারকেল নাড়ু বাড়িতে করা হলেও তিলের নাড়ু করা কিছুটা কঠিন। তাই দোকান থেকে কিনে এই নাড়ু মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করা হয়। তবে এবার আর দোকান থেকে কিনে তিলের নাড়ু দিতে হবে না। শিখে নিন মা ঠাকুমাদের যুগের রেসিপি (Recipe)।
ভোগে মিষ্টি স্বাদে তিলের নাড়ু, পুরনো রেসিপি এক নজরে দেখে নিন (Recipe)
সোমবার অধিকাংশ বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা হবে। এবার এই পুজোয় মা লক্ষ্মীকে নানা ধরনের ভোগ দেওয়ার চল রয়েছে। তবে এই পুজোয় নাড়ু অন্যতম। সেখানে আপনি যেমন নারকেলের নাড়ু করেন। তেমনি তিলের নাড়ু ভোগে দেওয়ার রীতি রয়েছে। এবার শিখে নিন কীভাবে বাড়িতেই সহজে তিলের নাড়ু বানাবেন (Recipe)।
আরও পড়ুন: দীপাবলির আগে খুশির হাওয়া! এক লাফে আড়াই গুণ বেড়ে যাচ্ছে এই সুবিধা
উপকরণ:
সাদা তিল-১৫০ গ্ৰাম
জল-১/২ কাপ
গুড়- ২০০ গ্ৰাম
প্রণালী: প্রথমে সাদা তিলগুলি একটি থালায় ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে বেছে নিন। এর মধ্যে কালো তিল বা কাঁকড় লুকিয়ে থাকতে পারে। সেগুলি ফেলে দিন। এরপর শুকনো কড়াইয়ে একদম কম আঁচে সাদা তিল ভাজতে থাকুন। হালকা সোনালি রং ধরলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। তিল অন্য পাত্রে সরিয়ে নিন। তারপরএবার কড়াইয়ে আধ কাপ জল নিয়ে গরম করুন। এরপর তাতে আখি গুড় দিয়ে দিন। আঁচ বাড়িয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। তারপর গুড় একেবারে মিহি করে জলে গুলে যেতে হবে। তারপর গুড় তরল ঘন হয়ে গেলে সামান্য গুড় তুলে জলে দিয়ে দেখুন সেটি পাকিয়ে যাচ্ছে কিনা। পাক ধরলে বুঝবেন গুড় তৈরি হয়ে গেছে।এবার তরল ঘন গুড়ে ভাজা তিল দিয়ে ভালো করে মেশান।খুব ভালো করে গুড় এবং তিল মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটি একটি থালায় নামিয়ে নিন।এবার এটি ঠান্ডা করলে হবে না। গরম অবস্থাতেই গোল্লা পাকাতে হবে।তারপর তিলের নাড়ু এয়ার টাইট কৌটোয় রেখে দিন। বেশ কিছুদিন রেখে খেতে পারবেন (Recipe)।