বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। ইতিমধ্যে ধস নেমে একাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মিরিক থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে এবার ভূটান থেকেও এসেছে বিপদের খবর। ওয়াং নদীর টালা বাঁধে একটির গেট খুলছে না। এর ফলে জল উপচে পড়ছে বাঁধের উপর দিয়ে। যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সতর্ক করল ভুটান সরকার
ভূটান সরকার ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সতর্ক করেছে। জানানো হয়েছে, বাঁধে জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে প্রচুর জল একসঙ্গে নেমে আসবে। আর এতে প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে ডুয়ার্সের ভূটানঘাট, জয়ন্তী, বক্সা, আলিপুরদুয়ারের মতো এলাকা। এই অঞ্চলগুলিতে প্রচুর পর্যটকও থাকেন। তাই রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব নদীর ধারে থাকা মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে।
উল্লেখ্য, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিল, উত্তরবঙ্গে (North Bengal) লাল সতর্কতা জারি থাকবে। অর্থাৎ এক দিনে ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হতে পারে। সেই ভবিষ্যদ্বাণী একেবারে মিলে গেছে। কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে, দেখে নিন এক নজরে
- কুর্তি (জলপাইগুড়ি): ৩৭০ মিমি
- ডায়ানা (জলপাইগুড়ি): ৩৪৪ মিমি
- বানারহাট (জলপাইগুড়ি): ৩১০ মিমি
- গজলডোবা (জলপাইগুড়ি): ৩০২ মিমি
- মেখলিগঞ্জ (কোচবিহার): ২৬৪ মিমি
- দার্জিলিং: ২৬১ মিমি
- নেওড়া (জলপাইগুড়ি): ২৪৫ মিমি
- লাভা (কালিম্পং): ২০২ মিমি
- বিজনবাড়ি (দার্জিলিং): ১৫৪ মিমি
এছাড়া সিকিমেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। নামথাংয়ে ১৫৫ মিমি, মাজিটার ১২৮ মিমি, সোরেং ১১৮ মিমি, প্যাকিয়ং ১১৭ মিমি, রোংলি ১১৭ মিমি, রাবাংলা ১০১ মিমি, গ্যাংটক ৮৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ভূটান থেকে বেরিয়ে আসা জল ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকতে শুরু করেছে। ডুয়ার্স ও ভূটানঘাট এলাকায় নদীর জল বিপজ্জনকভাবে ফুলে উঠেছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে, পর্যটকদেরও নিচের দিকে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দাবিহীন ১.৮৪ লক্ষ কোটি! জনগণের হারানো টাকা ফিরিয়ে দিতে বড় পদক্ষেপ নিলেন অর্থমন্ত্রী
বর্তমানে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) আকাশ ঘন মেঘে ঢাকা। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ উভয়ই এখন আতঙ্কে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে টালা বাঁধ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা। এই বাঁধ কতক্ষণ টিকে থাকে সেই দিকেই এখন নজর সবার।