বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারংবার ভারতকে (India) রাশিয়া থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন। এমনকি, ট্রাম্প এই কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপও করেছেন। কিন্তু, ভারত তেল কেনা বন্ধ করেনি। গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি সামান্য হ্রাস পেয়েছে। তবে দেশের মোট তেল ক্রয়ের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি রাশিয়া থেকে এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, রাশিয়া ভারতের বৃহত্তম তেল বিক্রেতা হিসেবেই থাকবে।
রাশিয়া থেকে দৈনিক বিপুল তেল কিনছে ভারত (India):
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত (India) গত সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন প্রায় ৪.৭ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। যা আগের মাসের তুলনায় ২,২০,০০০ ব্যারেল বেশি। কিন্তু ১ বছর আগের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে। রাশিয়া মোট আমদানির ৩৪ শতাংশ তেল প্রদান করেছে। তবে, কেপলারের প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এই পরিসংখ্যান ২০২৫ সালের প্রথম ৮ মাসে রাশিয়া থেকে গড় আমদানির তুলনায় ১,৬০,০০ ব্যারেল কম ছিল।
উল্লেখ্য যে, ভারতের (India) জন্য রাশিয়ান তেল একটি সস্তা বিকল্প। কেপলারের গবেষক সুমিত রিটোলিয়া বলেছেন যে, রাশিয়ান তেলের পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও, এটি ভারতীয় শোধনাগারগুলির জন্য সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে লাভজনক বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কারণ এটি অন্যদের তুলনায় ভালো লাভ এবং ছাড় দেয়। এদিকে, এই তালিকায় ইরাক প্রতিদিন ৮৮১,১১৫ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারপরে রয়েছে সৌদি আরব (৬০৩,৪৭১ ব্যারেল) এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (৫৯৪,১৫২ ব্যারেল)।
আরও পড়ুন: ১ বছরেই মিলেছে ১০০ শতাংশেরও বেশি রিটার্ন! বিনিয়োগকারীদের মালামাল করেছে এই কোম্পানির শেয়ার
ভারতের বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী: এছাড়াও, এই তালিকায় প্রতিদিন ২০৬,৬৬৭ ব্যারেল তেল আমদানির মাধ্যমে আমেরিকা পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, রাশিয়া ইরাক এবং সৌদি আরবের মতো প্রাক্তন সরবরাহকারীদের ছাড়িয়ে ভারতের (India) বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী হয়ে ওঠে। যখন কিছু পশ্চিমী দেশ রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তখন রাশিয়া তা সস্তা দামে বিক্রি করে। যা ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ভারতীয় শোধনাগারগুলি প্রচুর পরিমাণে কিনে নেয়।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় (India) পণ্যের ওপর বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্কের ওপরে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কিন্তু রাশিয়ান তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা চিনের বিরুদ্ধে অনুরূপ কিছুই করেননি। এদিকে, উৎসবের মরশুমে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের জন্য রাশিয়ার তেলের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।