সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার রায়দান কবে? সরকারি কর্মচারীদের নেতা দিলেন বড় আপডেট সামনে এল

Published on:

Published on:

dearness allowance(12)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে শেষ হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি (Dearness Allowance)। চূড়ান্ত শুনানি শেষে মামলার স্ট্যাটাস “Heard and Reserved”। অর্থাৎ মামলাটির শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত মামলার রায় সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ডিএ মামলার রায়দান কবে হবে? এই প্রশ্নই এখন সরকারি কর্মীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় কি নভেম্বরে? Dearness Allowance

চূড়ান্ত শুনানির পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, কারোর কোনও বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ও ইউনিটি ফোরাম লিখিত আকারে বক্তব্য জমা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ২২শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে লিখিত আকারে তাঁদের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টে জানাবে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ২৯শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাকারীরা রাজ্যের জবাবের প্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য জানাবেন সুপ্রিম কোর্টে। তার তিন সপ্তাহ পর লিখিত জবাব দেখবে আদালত। তারপর ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় সামনে আসবে।

প্রথমে মনে করা হচ্ছিল অক্টোবর মাসেই ডিএ মামলার রায়দান হবে। তবে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, দুর্গাপুজো এবং দীপাবলির ছুটির কারণে অক্টোবরে রায় বেরোনোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট তরফে কোনও আপডেট মেলেনি।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে আজও ভারী বৃষ্টি, জারি সতর্কতা, দক্ষিণবঙ্গের কি হবে? আবহাওয়ার খবর জানুন

এদিকে সম্প্রতি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পুরাতন রোপার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে মামলা তা হয়তো পুজোর পরই সুপ্রিম কোর্ট খুললে তার রায় ঘোষণা হবে। সেখানেও আমরা জিতব। কারণ এটা অধিকারের প্রশ্ন। এটা সমস্ত বাঙালিদের সঠিক পরিশ্রমের সঠিক পারিশ্রমিকের প্রশ্ন। এই লড়াইয়ে কোনোরকম কোনও ছাড় দিতে আমরা রাজি নই। বাঙালি অস্মিতার জন্যে লড়াই চলবে।’

dearness allowance(45)

তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, এরপর হয়তো আবেদনের জায়গায় থাকবে না। অবিলম্বে কর্মচারীদের বকেয়া মিটিয়ে দিন। তাহলেই গোটা দেশে বাংলার শ্রমিক, কর্মচারীরা সঠিক শ্রমের সঠিক পারিশ্রমিক পাবেন।