বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঁধভাঙা বৃষ্টিতে বানভাসি উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। রাতভর বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়! ভূমিধস এবং অতিবৃষ্টির জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি মিরিকে (North Bengal)। এখনও পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এর মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে মৃতদের তালিকা।
উত্তরবঙ্গ (North Bengal) বিপর্যয়ে প্রকাশ্যে মৃতদের তালিকা
ধসের জেরে শুধুমাত্র মিরিকের প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া দার্জিলিংয়ের সিংমারি এবং কার্শিয়াংয়ের সোনাদাতেও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মিরিক মহকুমা (North Bengal) এলাকায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ঊষা রাই (৭২), বিজেন্দ্র রাই (৭০), সাধনা তামাং (৩৫), আহান ছেত্রী (৯), রুহি তামাং (১১), স্নেহা প্রধান (১৯), অনুজ প্রধান (৪২), অনিতা প্রধান (৪১), ফুচুং ডুকপা (৫০) এবং সুমিত লেপচা (৪৬), আরুষি ছেত্রী (১২), মিনা সেওয়া (৬২), জ্ঞানচুক তামাং (২০), বাবুলাল রাই (৪২) এবং সাধনা তামাং (৩৫)।
মৃত্যু নেপালের নাগরিকদের: মানেভঞ্জনেও (North Bengal) ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে একাধিক। নেপালের পাঁচ নাগরিক ধসে মারা গিয়েছেন বলে খবর। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দীপ বাসনেট (৪৬), ভবানী বাসনেট (৪৪) এবং দীপিকা বাসনেট (১২)। এঁরা নেপালের ডোলখা জেলার ময়নাপোখরির বাসিন্দা। এছাড়াও মৃত্যু হয়েছে মনমায়া ছেত্রী (৬৭) এবং রশ্মিকা ছেত্রীর (১০)। তাঁরা নেপালের ইলমার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন : “অনেক গালি খেয়েছি”, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছাড়লেন অভিনেতা!
প্রচু্র ক্ষয়ক্ষতি বিভিন্ন এলাকায়: সরকারি হিসাব বলছে, এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মিরিক এবং সুখিয়াপোখরিতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এক রাতের বৃষ্টিতেই ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে এসেছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) পার্বত্য এলাকায়। শনিবার রাতেই দুধিয়ায় বালাসন নদীর উপরে লোহার সেতুর একাংশ ভেঙে যায়। আপার দুধিয়ায় চার-পাঁচটি বাড়ি ধসে গিয়েছে। বেশ কিছু হোমস্টে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ডোনা-শ্রাবন্তীর পারফরম্যান্স, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নাচ অঙ্কুশের, জমজমাট দুর্গাপুজোর কার্নিভাল
দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা জানান, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ের পরিস্থিতিকে রাজ্য বিপর্যয় বলে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা রয়েছে মমতার।