পুলিশের চোখের সামনে তৃণমূল অফিসে হামলা! ত্রিপুরায় ছুটলেন কুণাল-সায়নীরা

Published on:

Published on:

Trinamool Congress Party Office Vandalized in Tripura

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তৃণমূলের তরফ থেকে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দলের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সাংসদ সায়নী ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব এবং সুদীপ রাহা।

বিক্ষোভের পর ত্রিপুরার তৃণমূলের (Trinamool Congress) অফিস ভাঙচুর

সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলার প্রতিবাদে ত্রিপুরার আগরতলায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলের (Trinamool Congress) অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এই সময় কয়েকজন সেখানে ভাঙচুর চালিয়ে দলীয় পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয়। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের জানিয়েছে, “যাঁরা ক্ষমতায় থেকেও প্রতিপক্ষের কণ্ঠ রোধ করতে হিংসার আশ্রয় নেয়, তাঁরা আসলে নিজেদের দুর্বলতা ও নৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকাশ করে।”

বুধবার ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “দক্ষিণী সিনেমার কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের সামনেই পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।”

যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষও ত্রিপুরার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দলের বক্তব্য, “তৃণমূলের প্রতিটি কর্মী এবং ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিক এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন। যা ঘটেছে তা ত্রিপুরার মানুষ তো বটেই, সমগ্র দেশ দেখছে। এই অন্যায়ের পরিণতি কী হবে, তা সকলের জানা।”

Trinamool Congress Party Office Vandalized in Tripura

আরও পড়ুনঃ তিন জেলায় টার্গেট! বিহারের পরে বাংলায় শুরু SIR, কী কী দেখবে কমিশন?

রাজ্যের শাসক দলের (Trinamool Congress) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, “বিজেপি একদিকে ‘গণতন্ত্র বাঁচানোর’ কথা বলে, অন্যদিকে রাজ্য থেকে রাজ্যে গণতন্ত্রের ভিতকেই নষ্ট করছে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, “বিজেপি পার্টি অফিস জ্বালাতে পারে, পোস্টার ছিঁড়তে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে, কিন্তু প্রতিরোধের মানসিকতা মুছে ফেলতে পারবে না।” তৃণমূলের এই বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।