বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গের সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ দেখিয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বিজেপি। এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাজ্যের শাসকদলের ৬ সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধি দল। কিন্তু বুধবার সকালে আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নামতেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। অভিযোগ ওঠে তাদের বিমানবন্দর চত্বর ছাড়তে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি অটো বা প্রিপেড ট্যাক্সিও বুক করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ দলের।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দর চত্বরেই আটকে রেখেছে পুলিশ
জানা গিয়েছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দর চত্বরেই আটকে রাখে পুলিশ। সেই দলের সদস্য হিসেবে ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, এবং দলের অন্য সদস্য সুদীপ রাহা, সুস্মিতা দেব ও বীরবাহা হাঁসদা।
সূত্রের খবর, পুলিশ বাধা দেওয়ার পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন দলের নেতারা। ক্ষোভে ফেটে পড়ে প্রতিনিধি দল জানায়, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এসেছি, কিন্তু বিজেপির নির্দেশেই আমাদের আটকানো হচ্ছে।” অভিযোগ, তাঁদের গাড়ি বুক করতে দেওয়া হয়নি, বাইরে থেকে কেউ ঢুকতেও পারছেন না।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গেরুয়া সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিমানবন্দর চত্বরে বসেই ধর্নায় বসেন হন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ সহ উপস্থিত তৃণমূল নেতারা।
আরও পড়ুনঃ “গ্রেপ্তার না হলে, এবার পাল্টা মার হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় সরাসরি হুঁশিয়ারি সুকান্তর
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল (Trinamool Congress)। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।