বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার গুগল ভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। মূলত, ওই সংস্থা বিশাখাপত্তনমে ১ গিগাওয়াট ডেটা সেন্টার (Data Center) ক্লাস্টার স্থাপনের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮,৭৩০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই ডেটা সেন্টারটি হবে এশিয়ার বৃহত্তম ডেটা সেন্টার হাব। এটি ভারতে গুগলের প্রথম এই ধরণের বিনিয়োগ হবে।
এশিয়ার বৃহত্তম ডেটা সেন্টার (Data Center) তৈরি:
ওই ডেটা সেন্টার (Data Center) হাবের মধ্যে থাকবে ৩ টি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস। যা বিশাখাপত্তনম জেলার আদাভিভারম গ্রাম এবং তারলুভাদা গ্রামে এবং আনাকাপল্লে জেলার রামবিলি গ্রামে থাকবে। ২০২৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে এগুলি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ET-র একটি রিপোর্ট অনুসারে, ডেটা সেন্টার ক্লাস্টার নির্মাণে ৩ টি হাই-ক্যাপাসিটিযুক্ত সাবমেরিন কেবল থেকে শুরু করে ডেডিকেটেড কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন, হাই ক্যাপাসিটি মেট্রো ফাইবার লাইন, টেলিকম পরিকাঠামো এবং ল্যান্ডিং যুক্ত থাকবে।
এশিয়ার বৃহত্তম ডেটা সেন্টার হাব: সূত্রকে উদ্ধৃত করে ET-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে গুগলের আধিকারিকরা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি ও ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রী নারা লোকেশের মধ্যে পরিকাঠামোগত চুক্তিটির আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড বুধবার বিনিয়োগ প্রস্তাবটি অনুমোদন করতে পারে। এই প্রকল্পটি ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুগল এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলির দ্বারা সর্বকালের বৃহত্তম সরাসরি বিনিয়োগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গুগল এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলি বর্তমানে ১১ টি দেশে (আমেরিকা, তাইওয়ান, জাপান, সিঙ্গাপুর, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম এবং চিলি) কাজ করে এবং ২৯টি স্থানে ডেটা সেন্টার পরিচালনা করে। তবে, বিশাখাপত্তনমের ডেটা সেন্টার (Data Center) ক্লাস্টারটি এখনও পর্যন্ত এশিয়ার বৃহত্তম হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
২০২৪ সালে মৌ স্বাক্ষরিত হয়: জানিয়ে রাখি যে, ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যেই, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, নাইডু গুগলের সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করেন। সূত্র জানিয়েছে, গুগল ডেটা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কিছু শর্ত আরোপ করেছে। এর আগে গত ২৬ মে, মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, নাইডু ডেটা সিটির প্রচারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং কপিরাইট আইনে সংশোধনীর প্রস্তাব করেছেন। এরপরে, ভারত সরকার ডেটা সেন্টারগুলির (Data Center) জন্য একটি বিস্তৃত কাঠামো প্রদান করে একটি ড্রাফট পলিসি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বৈভবের দাপটে মিলেছে শক্তি! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল
গতি পাবে ডিজিটাল অর্থনীতি: উল্লেখ্য যে, গুগলের এশিয়া-প্যাসিফিক টিম চলতি বছরের মে মাসে বিশাখাপত্তনম সফর করেছিল এবং লোকেশ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এই ডেটা সেন্টার (Data Center) ক্লাস্টারটি ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক AI পরিকাঠামো হাবের অংশ হবে। যা একটি কনসেনট্রেটেড জিওগ্রাফিকাল জোনে বিকশিত একটি বিশাল ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার এলাকা। এই কেন্দ্রটি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ভারতের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করতে এবং অ্যাডভান্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে গতির মাধ্যমে লিডিং ডিজিটাল ক্যাপাবিলিটিজ প্রদানে সক্ষম হবে।