বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের (India) সাধারণ মানুষের জন্য শীঘ্রই ডবল সুখবর আসতে পারে। সাম্প্রতিক একটি সার্ভেতে অনুমান করা হয়েছে যে, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান এখনও ভালো জায়গায় রয়েছে। যার কারণে সাধারণ মানুষের পকেটে বোঝা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রন্টেও (IIP) সুসংবাদ রয়েছে এবং ৩ মাসে শিল্পগুলি দ্রুত গতিতে প্রসারিত হচ্ছে। অর্থাৎ শিল্পের প্রসারের সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
মানিকন্ট্রোল পরিচালিত এক সার্ভেতে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারিতেও খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান ৫.১ শতাংশের ওপরে যাবে না। অর্থাৎ, এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ ৬ শতাংশের সীমার মধ্যে থাকবে। শুধু তাই নয়, ফেব্রুয়ারি হবে টানা ষষ্ঠ মাস যেখানে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নিচে থাকবে। এছাড়াও, শিল্পের বৃদ্ধির বিষয়েও ভালো খবর রয়েছে। যেটি ৩ জানুয়ারিতে ৪.৩ শতাংশের মাধ্যমে ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, সরকার আগামী ১২ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এবং শিল্প বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক এই তথ্য প্রকাশ করে।
খাদ্যসামগ্রী সস্তা হবে: উল্লেখ্য যে, সামগ্রিকভাবে খাদ্যসামগ্রীও সস্তা হতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ০.৭ শতাংশ কমবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই হ্রাসের কারণে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ৮.৩০ শতাংশে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যা সামগ্রিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারকে ৫.১ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে। অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, খুচরো মুদ্রাস্ফীতিতে খাদ্যপণ্য সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায়, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার কমলে সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি কমার স্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে।
শাক-সবজির দাম কমেছে, শস্যের দাম বেড়েছে: অর্থনীতিবিদদের মতে, গত এক মাসে টমেটো, পেঁয়াজ, আলুর মতো সবজির দাম বাড়েনি। তবে, অন্যান্য সবুজ-সবজির দাম সামান্য বেড়েছে। এছাড়া শস্য, ফলমূল ও মাংসের দাম বাড়লেও ডিম, ডাল ও মশলার দাম কিছুটা কম রয়েছে। উপভোক্তা মন্ত্রক সম্প্রতি ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, ১ মাসের মধ্যে চালের দাম বেড়েছে ১.১ শতাংশ এবং গমের দাম ০.৪ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চরম ক্ষতি, ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়ে বড় ধাক্কা পেল মলদ্বীপ, হাহাকার দেশে
শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়েছে: উল্লেখ্য যে, সরকার গত ১২ মার্চ সন্ধ্যায় শিল্প সংক্রান্ত উন্নয়নের পরিসংখ্যানও প্রকাশ করবে। শিল্প উৎপাদন সূচকের আনুমানিক পরিসংখ্যান নির্দেশ করে যে, জানুয়ারিতে এর বৃদ্ধির হার হতে পারে ৪.২ শতাংশ। এমতাবস্থায়, ৩ মাসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচিত হবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এটি ছিল ৩.৮ শতাংশ এবং নভেম্বরে এই হার ছিল ২.৪ শতাংশ। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, IIP-র বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ।