বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য ও কেন্দ্রের টানাপোড়েন নতুন নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র সরকার রাজনৈতিক কারণে বাংলার প্রাপ্য অর্থ আটকে রাখছে। এই তর্জার মধ্যেই কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের তরফে ৬৮০ কোটি ৭১ লক্ষ টাকার তহবিল পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে (West Bengal Government)।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জন্য গিয়েছে, এই অর্থ চলতি অর্থবর্ষের ‘সংযুক্ত (মৌলিক) অনুদান’ খাতের প্রথম কিস্তি। রাজ্যের (West Bengal Government) ৩,২২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২১টি জেলা পরিষদে এই তহবিল পৌঁছবে। এই অর্থের মূল লক্ষ্য গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা।
কোন কোন খাতে খরচ হবে এই অর্থ?
পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই অনুদানের অর্থ কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকবে প্রতিটি স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থার হাতে। রাস্তা ও ফুটপাথ নির্মাণ, পথবাতি বসানো, খেলার মাঠ তৈরি, কিংবা গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের মতো প্রকল্পে এই তহবিল খরচ করা যাবে।
রাজ্যের (West Bengal Government) দাবি, “এটা প্রাপ্য, অনুগ্রহ নয়”
রাজ্যের এক পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিক এই অর্থ প্রসঙ্গে বলেন, “এটা নতুন কোনও বরাদ্দ নয়, রাজ্যের প্রাপ্য অর্থই এখন দেওয়া হচ্ছে। বরং আরও আগেই এই তহবিল দেওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রের।” শাসকদল তৃণমূলও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলছে, ‘এটি রাজ্যের পাওনা, কেন্দ্রের উপহার নয়।’ বুধবার, অর্থাৎ ৬ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে (West Bengal Government) আনুষ্ঠানিকভাবে এই তহবিল দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় গত ও বর্তমান অর্থবর্ষ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal Government) এখন পর্যন্ত মোট ৪১৮১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার অনুদান পেয়েছে। এর মধ্যে ২০৮২ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা গেছে ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতে এবং ২০৯৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ‘নির্দিষ্ট অনুদান’ খাতে। ‘নির্দিষ্ট অনুদান’ খাতে কেন্দ্র নির্ধারিত কাজেই অর্থ ব্যবহার করতে হয়, যেমন গ্রামীণ শৌচাগার নির্মাণ ও পানীয় জল সরবরাহ।
আরও পড়ুনঃ ছাদে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ, তবে… কালীপুজো নিয়ে একাধিক গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য
যদিও এই বরাদ্দের পরও রাজ্যের (West Bengal Government) ক্ষোভ কমছে না। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্র আটকে রেখেছে। এই নিয়ে আদালতেও মামলা হয়েছে।