বাংলা হান্ট ডেস্ক: অ্যালার্জি সমস্যা থাকলে নাস্তানাবুদ হতে হয় ৮ থেকে ৮০ সকলকেই। কারণ এই সমস্যা যাদের রয়েছে তারা জানেন এর কষ্ট। পাশাপাশি এই সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কেউ। তাছাড়া এটি একটি রোগ। অনেক সময় এই রোগটি উপসর্গ ছাড়াই দেখা দেয়। এমনকি এই রোগের ফলে খাদ্যনালী, চোখের মতন স্পর্শকাতর অঙ্গে সমস্যার সৃষ্টি হয় । আর এই রোগটি শরীরের (Health) যে কোন অঙ্গে দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ একান্তই নেওয়া প্রয়োজন। তবে এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ্যা জানান, অ্যালার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবার গুলো যদি রাখেন তাহলে সহজেই সুস্থ থাকবেন আপনি।
অ্যালার্জি এড়াতে দিনে খাবেন এই ৫ স্বাস্থ্যকর খাবার (Health)
১) ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ: চিকিৎসকদের মতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ বিশেষ করে EPA ও DHA শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে (Health)। কারণ এটি এলার্জির উপসর্গ কমাতে কার্যকর। আর এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছের মধ্যে আপনি খেতে পারেন স্যালমন, টুনা, ম্যাকরেল জাতীয় সামুদ্রিক মাছ (Health)।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা সকালে খেতে হবে গরম ও সুস্বাদু জলখাবার, বাড়িতে বানান পাঞ্জাবী স্টাইল মুলোর পরোটা
২) ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি: অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ডায়েটে রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি। এটি হিস্টামিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজির হিসেবে ডায়েটে রাখতে পারেন আমলকী, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, ক্যাপসিকাম প্রভৃতি।
৩) প্রোবায়োটিকস: প্রোবায়টিক হল উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এটি অন্তরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নতি করতে সাহায্য করে। অ্যালার্জি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আপনি টক দই, কেবির, বাটার মিল্ক খেতে পারেন।
৪) হলুদ: অ্যালার্জি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে হলুদ অন্যতম ভূমিকা পালন করে। হলুদের সঙ্গে আপনি যদি চারটি গোলমরিচের দানা মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। হলুদের মধ্যে থাকে সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন। শক্তিশালী অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টি অ্যালার্জিক। এটি অ্যালার্জির প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৫) কুয়ারসেটিন যুক্ত খাবার: কুয়ারসেটিন হল এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড। এটি মূলত প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন হিসেবে কাজ করে ( Health)। পাশাপাশি অ্যালার্জির কারণে হওয়া প্রদাহ কমায়। কুয়ারসেটিন যুক্ত খাবার হিসাবে আপনি খেতে পারেন পেঁয়াজ (বিশেষত লাল পেঁয়াজ), আপেল (খোসা সহ), আঙুর, বেরি, ব্রকোলি, গ্রিন টি।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)