বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধসের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবন। সম্প্রতি নবান্ন থেকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই গোটা পরিস্থিতির উপর সরাসরি নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত জেলা গুলিতে কাজ করছে প্রশাসন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
নবান্নর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত জেলা গুলিতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে প্রশাসনের একাধিক দপ্তর। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র, অস্থায়ী আশ্রয়শিবির এবং রান্নাঘর চালু করা হয়েছে সব দুর্গত এলাকায়। যেসব পরিবারের নথি বন্যায় নষ্ট হয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ শিবির খোলা হয়েছে, যাতে দ্রুত নতুন করে নথি তৈরি করে দেওয়া যায়।
দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরি, তাবাকোশি-সহ পাহাড়ি দুর্গম অঞ্চলে প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যৌথভাবে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে। খাবার, পানীয় জল, প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কাদামাটি ও ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের কাজও চলছে জোরকদমে, যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হয় জনজীবন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, পুকুর, জলের উৎস এবং মাছের ঘের জীবাণুমুক্ত করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, সংক্রামক রোগের বিস্তার রোখা এবং স্থানীয় জীবিকা যেমন মাছচাষ দ্রুত পুনরুদ্ধার করা।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, সড়ক এবং ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করছে জেলা প্রশাসন। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। পরিকাঠামো পুনর্গঠনের কাজেও গতি এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া দার্জিলিংয়ের দুধিয়া ব্রিজের মেরামতের কাজ চলছে যা ২৫ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইভাবে এনএইচ-৩১সি-র কালিখোলা সেতুর কাজও চলছে জরুরি ভিত্তিতে এবং ইতিমধ্যে আংশিকভাবে চালু করা হয়েছে। এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির ৩০টিরও বেশি এলাকায় সড়ক, সেতু ও কালভার্টের মেরামতের কাজ রাতদিন চলছে, যাতে যান চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রতিদিন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে ত্রাণের অগ্রগতি ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের পর্যালোচনা করেছেন। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও পরিবার যেন সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয়। রাজ্য সরকারের বক্তব্য দ্রুত পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন। তার জন্য প্রশাসন এখন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলির জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে।