“জেতা একমাত্র লক্ষ্য, খেলা-মেলা এখন নয়”, সৌগত রায়ের মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল

Published on:

Published on:

Saugata Roy Warns TMC Cadres to Prioritize Elections Over Festivities

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বরানগরের একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy) এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিন দলের একাংশের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, পার্টিকে পবিত্রভাবে দেখা এবং জেতাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।

জেতাটাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, বললেন সৌগত রায় (Saugata Roy)

সৌগত রায় (Saugata Roy) বলেন, “যদি কোনও একটা পার্টি খেলা-মেলার মধ্যে চলে যায়, তবে তার পলিটিক্যাল সেন্স চলে যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে ৬ মাস পরে নির্বাচন। জেতাটাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, অন্য কিছু এখন করবেন না। পলিটিক্স ভুলে গেলে চলবে না। যারা ক্ষমতায় আসা পার্টিতে আছেন তারা কি মনে রাখছেন এটা শহিদদের পার্টি? নাকি ভাবছেন, এর মধ্যে যা কামিয়ে নেওয়ার কামিয়ে নিই। এটা মূল বিষয় যে পার্টিটাকে একটা পবিত্র ব্যাপার হিসেবে দেখতে হবে।”

সৌগত রায়ের (Saugata Roy) এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সিপিএমের যুব নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, “খেলা-মেলায় তো তৃণমূল আজ যায়নি! এর আগে যখন বামেরা তৃণমূল সরকারের খেলা-মেলা নিয়ে সমালোচনা করেছিল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন খেলা-মেলা করব না তো কি শ্রাদ্ধ করব? সৌগত রায় বোধ হয় বুঝেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পলিটিক্যাল সেন্স চলে গেছে।”

অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সৌগত রায়ের মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করে বলেছেন যে, “সৌগত রায়ের সমাজকে চেনার অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত! তিনি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী, বহুবার জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। বহুবার দল পরিবর্তনও করেছেন। গতকাল তিনি SIR নিয়ে বলেছিলেন। বলেছিলেন, SIR হলে অসুবিধা কোথায়? সম্পূর্ণ ওদের দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে কথাটা বলেছিলেন। মাঝেমধ্যে উনি দলের বিবেক হয়ে ওঠেন।”

Saugata Roy Warns TMC Cadres to Prioritize Elections Over Festivities

আরও পড়ুনঃ প্রথমে জুতো পেটা, তারপরে মুখে কালি, খড়গপুরে তুই তৃণমূল নেত্রীর ধস্তাধস্তিতে নিন্দার ঝড় তুললেন শুভেন্দু

রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে সৌগত রায়ের (Saugata Roy) এই মন্তব্য এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষত তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এই বক্তব্যকে একটি ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।