বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গের বন্যা ও দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের শিকার হন দুই বিজেপি নেতা। মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুকে পাথর দিয়ে আঘাত করে চোখের নীচের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও (Shankar Ghosh) হামলার শিকার হতে হয়েছে।
ফের ত্রাণ নিয়ে নাগরাকাটায় শঙ্কর (Shankar Ghosh)
সংকটজনক অবস্থায় দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি কর হয়। খগেন মুর্মু এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চোখের নীচের ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার করা হবে। অন্যদিকে, শঙ্কর ঘোষকে (Shankar Ghosh) কয়েকদিন চিকিৎসাধীনে রেখে সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। তবে শরীর খানিকটা ঠিক হতেই পুনরায় তিনি ত্রাণ বিতরণের কাজে যুক্ত হয়েছেন বলে খবর। নাগরাকাটায় ঠিক সেই স্থানে আবার ত্রান নিয়ে গিয়েছেন শঙ্কর যেখানে তাঁদের উপর হামলা করা হয়েছিল।
শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh) ঘটনার পরপরই জানিয়েছিলেন, “দল যদি বলে, ত্রাণ দিতে পুনরায় নাগরাকাটায় যাব।” কথা মতো শনিবার তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সহায়-সম্বলহীনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ত্রাণ বিতরণ করেন।
গত সোমবার দুর্যোগকবলিত নাগরাকাটায় একাধিক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষ। বামনডাঙায় ঢোকার আগে তারা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কয়েকশো মানুষ লাঠি, জুতো নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়িতে ছোড়া হয়। এতে খগেন মুর্মুর চোখের নীচের হাড় ভেঙে রক্ত ঝরতে থাকে। শঙ্কর ঘোষকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয়।
প্রসঙ্গত, হামলার জন্য বিজেপি সরাসরি দোষারোপ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh) এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমাদের গাড়ির সমস্ত কাচ ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। খগেনদা রক্তাক্ত অবস্থায়। আপাতত দ্রুত হাসপাতালে যাচ্ছি।” ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তাক্ত খগেন মুর্মু গাড়ির মধ্যে বসে আছেন এবং তাঁর পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে গেছে।
আরও পড়ুনঃ “জেতা একমাত্র লক্ষ্য, খেলা-মেলা এখন নয়”, সৌগত রায়ের মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল
শঙ্কর (Shankar Ghosh) আরও জানান, “আমরা ত্রাণ দেওয়ার কাজে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম। তখন কিছু লোক ‘দিদি’র কথা বলে আমাদের ঘিরে ধরে। প্রথমে গালিগালাজ, পরে পিছন থেকে মারধর। মাথা সিটের নিচে ঢুকিয়ে দিয়ে কোনওমতে বেঁচেছি।”